আশাশুনিতে চিরস্তায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 54 ভিউস

আশাশুনি প্রতিবেদক:

আশাশুনি সদরের শ্রীকলস গ্রামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি মাপ জরিপ করে সীমানা নির্দ্ধারন করা হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার, সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, সদর ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে স্থানীয় সার্ভেয়ার জমি মাপজোক করে সীমানা চিহ্নিত করে দেন।

শ্রীকলস গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মুনছুর গাজীর ছেলে মিজানুর রহমান দিং শ্রীকলস মৌজায় এসএ ১ নং খতিয়ানে ৫২০, ৫৬৪ দাগে ভ‚মিহীন ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসাবে ১২৩/৮৭-৮৮ ও ১১৬/৮৭-৮৮ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে ৫৮৪১ ও ৫৮১২ নং রেজিষ্ট্রী দলিল প্রাপ্ত হয়ে, নামপত্তন ও জমির খজনাদি পরিশোধ করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখল ও বসবাস করে আসছেন। ভ‚মি অফিস ২০১১ সালে ভুলবশতঃ জমির মধ্যে ২.০০ একর জমি একসনা বন্দোবস্ত প্রদান করেন সিরাহ গাজী দিং এর নামে। মিজানুর রহমান দিং ডিসি অফিসে মিস কেস ১৬/১২ (খাস) রুজু করলে বিজ্ঞ আদালত ডিসিআর বাতিল করেন।

এনিয়ে বিবাদী পক্ষ রিভিউ মামলা করলে প্রতিপক্ষ অতিঃ বিভাগীয় কমিশনার (রাঃ) খুলনা আদালতে ১৪/২০১৩ নং মামলা করলে স্থগিত আদেশ হয়, কিন্তু পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পুনরায় নিন্ম আদালতে প্রেরন করেন। আদেশের বিরুদ্ধে রিজিয়া দিং ভূমি আপীল বোর্ডে ৫-৬৯/২০১৩ (খাস) আপীল করেন, বিজ্ঞ আদালত ১০/৯/১৩ তারিখের তর্কিত আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করতঃ শুনানীর জন্য গ্রহন করেন। শুনানী শেষে ২৭৯/১৭ তাং আপীল বোর্ড আপীল মঞ্জুর করেন এবং বিভাগীয় কমিশনার (রাঃ) খুলনার মিস আপীল ১৪/১৩ মামলার ০১/০৯/১৩ তাং আদেশ রদ রহিত করেন এবং বাদী পক্ষের অনুকূলে রায় ঘোষণা করেন। কিন্তু সিরাজ দিং আপীল বোর্ডে মামলা চলমান থাকাকালীন মহামান্য হাইকোর্টে ২৬২১/১৪ রিট পিটিশান দাখিল করেন। হাইকোর্ট প্রতিবেদন চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউএনও ও ডিসি মহোদয় প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাতে বিবাদী মিজানুর দিং এর পক্ষে মতামত দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট বিবাদীর দরখাস্ত যথার্থতা খুজে পেয়ে বাদীর দরখাস্ত নামঞ্জুর করেন এবং রুলটি বিনা খরচায় খারিজ করেন।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে মিজানুর দিং দেং ০১/০৮ নং মামলা করলে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত উক্ত জমি ইজারা প্রদানে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করেন। এরপর মিজানুর দিং ১২/০৭/২০ তাং ইউনেও বরাবর ১২৫৪(ক) নং আবেদন করলে সার্ভেয়ার জমি মাপজরিপ করতঃ সীমানা নির্ধারন করে লাল পতাকা টানিয়ে জমি বুঝিয়ে দেন। এরপরও প্রতিপক্ষ সীমানা খুটি ও লাল পতাকা অপসারণ করলে প্রশাসনের পক্ষে পুনরায় সাইনেবোর্ড স্থাপন করে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারও প্রতিপক্ষ থেমে খাকেনি। নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিল।

ইতিমধ্যে নদী খননের ফলে এলাকার জমির সীমানা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সোমবার সরকারি সার্ভেয়ার অমল কান্তি ঘোষ, সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার মন্ডল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান এর উপস্থিতিতে তাদের পরামর্শ মত স্থানীয় সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান জমি মাপ জরিপ করে জমির সীমানা নির্দ্ধারন করেন। তাদের দেখানো সীমানা বুঝে পেয়ে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত পরিবার সাইন বোর্ড স্থাপন করেন।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!