আশাশুনির অধিকাংশ হাট-বাজার চোর ও নেশাখোরদের দখলে

কর্তৃক Ahadur Rahman Jony
০ কমেন্ট 46 ভিউস

সচ্চিদানন্দদেসদয়: দীর্ঘদিন সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় আশাশুনি উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজার বেহালদশায় পরিনত হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। উপজেলার ৩৪ টি হাট থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হলেও হাট-বাজারগুলোর উন্নয়ন হয়নি বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
সরেজমিনে আশাশুনি বুধহাটা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত লাজুক। সামান্য একটু বৃষ্টিতে বাজারের মধ্যে গলিতে পানি জমে রয়েছে। পানি-কাঁদা মাড়িয়ে লোকজন চলাচল করছে।বাজার টির কমিটি না থাকায় বাজারের অলিগলি রাতারাতি পেরিফেরি আওতায় চলে যাচ্ছে। এক শ্রেনির দালাল দোকান দোকানে যেয়ে পেরিফেরি করে দেওয়ার জন্য হাজার হাজার টাকা গ্রহন করছে।অথচ দোকান দারেরা জানেন না, তাদের দোকান পেরিফেরি ভুক্ত হবে কিনা।অধিকাংশ বাজারের নাইট গাটের ব্যবস্থা ও বাজার কমিটি না থাকায় বাজার গুলো নেশাখোর ও চোরদের দখলে রয়েছে।প্রতি নিয়ত ঘটছে চুরির ঘটনা ফলে ব্যবসায়ীরা হয়ে পড়েছে অসহায়।গত কয়েকমাসে বুধহাটা বাজারের দশটি দোকানে বড় ধরনের চুরি সংঘটিত হলেও আজও পর্যন্ত কোন চোর ধরা পড়ে নি।
এদিকে, উপজেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র বুধহাটা বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও জনসাধারণের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই। বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত করুন।চাদনী গুলো দখল করে গড়ে উঠছে হোটেল রেস্তোরা চায়ের দোকান।এ গুলো অপ সারনের কোন ব্যবস্থা আজও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
অধিকাংশ বাজারের ড্রেন পরিস্কার না করায় বর্জ্য জমে সামান্য একটু বৃষ্টি হলে ড্রেনের পঁচা পানি উপচে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এমনকি দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ে পানি। বর্ষা মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতা ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি চরমে পৌছায়।
এ ছাড়া বাজারের গলি পথগুলো সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাজারের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে ছোট ছোট খুপরি ঘর তৈরি করে ব্যবসা করায় বাজারে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।বৃষ্টির সময় হাটে আগত লোকদের দাঁড়ানোর নেই কোন ছাউনী। চান্দিনাগুলো দখল করে রেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বাজারের বিভিন্ন সড়ক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মালামাল রেখে দখল করে রেখেছে। রাস্তা জুড়ে কেউ তেলের ব্যারেল, আবার কোথাও রাখা আছে দোকানের মালপত্র, ইটের গাদা, লাকড়ি ইত্যাদি।
প্রতি সোম ও শুক্রবার বাজারের মধ্যগলিতে হাট বসায় যানবাহন চলাচল বিঘœ ঘটছে। হাটের দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের অধিকাংশ ব্যস্ততম সড়ক জুড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শাকসবজি, তরকারি, মাছ, ফল, খেলনা, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা বিক্রির জন্য সাজিয়ে বসেছে। আবার অনেকে নিজেদের পছন্দের জায়গায় ঝুপরি টাঙিয়ে দখল করে স্থায়ীভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঐতিহ্যবাহী এ বাজারটি আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত হলেও সমাধানের কোন উদ্যোগ নেই।
বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী জানান, ‘নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করায় ময়লাযুক্ত পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, এতে আমাদের দোকানদারী করতে কষ্ট হচ্ছে।’



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!