আশাশুনি ব্যুরো: প্রতিপক্ষের অপপ্রচার ও বিড়ম্বনায় ফেলানোর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা ও প্রতিকার প্রার্থনা করে রোবাবর সকালে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান মন্টু। উপজেলার শাহনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শাহ গোলাম ইদ্রিসের পুত্র মিজানুর রহমান মন্টু লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাদের একটি পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদে সব সময় পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা করে বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার সরকারের কাছে পরাজিত হন তিনি। তথাপি চেয়ারম্যান না হয়েও পূর্বের ন্যায় জনগনের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে চেয়ারম্যান দিপঙ্কর গত ৭ ডিসেম্বর মিত্র তেতুলিয়া বাজারে কোন প্রকার উস্কানি ও কারণ ব্যতীত হঠাৎ করে মাইক খাটিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা. বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার করেছেন। এমনকি তাকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ঘের লুটকারী, ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে তিনি ৩৬ টি চলমান মামলার আসামী হিসাবে উল্লেখ করেছেন। অথচ চেয়ারম্যানও তাকে প্রতিপক্ষ ভেবে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করিয়েছেন, যা বিজ্ঞ আদালতে খারিজ হয়ে গেছে। বিগত জামাত বিএনপি ক্ষমতাকালে তিনি (মন্টু) ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি থাকায় এবং তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে কঠিন ভাবে দায়িত্ব পালন করায় কিছু রাজনৈতিক হামলা মামলার শিকার হয়েছিলেন। তাও বিজ্ঞ আদালত খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, আমি নই বরং চেয়ারম্যানের লোকজনই এলাকার খাস সম্পত্তি জবর দখল করেছেন। এমনকি বিল্লাল গাজীকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করিয়ে তার লভ্যাংশ তিনি নিয়ে থাকেন। আমি ভূমিহীনদের পক্ষে কথা বলি বলেই আমাকে জব্দ করতে এসব মিথ্যা অভিযোগ করে সামাজিক ভাবে হেনস্থা ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অপচেষ্টা চালান হচ্ছে। এমনকি শনিবারের অনুষ্ঠানে তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারমম্যান ও পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে উৎসাহিত করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজনীতিবিদ, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দাবি জানিয়েছেন অপপ্রচারের শিকার মন্টু।
আশাশুনি আ’লীগ নেতার সাংবাদিক সম্মেলন


পূর্ববর্তী পোস্ট