ই-টিকিটিংয়ের বাস্তবায়ন দেখতে সড়কে এনায়েত উল্যাহ

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 17 ভিউস

জাতীয় ডেস্ক:

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে ৫৯টি বাস কোম্পানির ৩ হাজার ৩০৭টি বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তবে এ পদ্ধতিতে নতুন প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। তারা বলছেন, ই-টিকিটিং বাসে টিকিট ছাড়াও যাত্রী তোলা হচ্ছে। কোনো কোনো স্টপেজে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

বাস যাত্রীদের এরকম নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজেই রাস্তায় নেমেছিলেন বিভিন্ন বাসের ই-টিকিটিং প্রক্রিয়া দেখতে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ ও স্বস্তি দুটোই তিনি একসঙ্গে দেখেছেন খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

রবিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে আসেন তিনি। এছাড়া সকাল থেকে সেখানে সবকিছু দেখভাল করছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় এনায়েত উল্যাহ বেশ কয়েকটি বাসে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে ই-টিকিটিং বিষয়ে কথা বলেন। তার ওঠা বেশ কয়েকটি বাসে যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে দু-একটি বাসে যাত্রীরা টিকিটিংয়ের টিকেট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগও করেন। এসময় তিনি সঙ্গে থাকা ওই পরিবহনগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেন ও বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।

অভিযোগকালে ওই বাসের এক যাত্রী বলেন, ই-টিকিটিং বিষয়ে স্টপেজ জটিলতা আছে। এছাড়া অনেক সময় কন্ডাকটররা টিকেট দিতে চান না। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনায়েত উল্যাহ বলেন, আপনারা টিকেট ছাড়া কেউ ভাড়া দেবেন না। প্রয়োজনে ওই পরিবহন কোম্পানির এমডিকে কল করে বিষয়টি জানাবেন।

সাংবাদিকদের খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আমরা কিছু কিছু বাসে অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা সেই বাস মালিকদের ডেকে কথা বলছি। অনেকদিন পর এই সিস্টেমটা চালু করা হয়েছে, তাই স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে।

তিনি বলেন, আমি বাসে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা ই-টিকিটিংয়ের বিষয়ে খুবই খুশি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধ করা। আশা করি আমরা এটা বাস্তবায়ন করতে পারব।

বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত-৮) সমর কুমার পাল বলেন, নিয়মিত অভিযানে আমরা সবকিছুই দেখছি। তবে আজ বাসে ই-টিকিটিংয়ের বিষয়ে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা ই-টিকিটিংয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। তারা যেন ভাড়া দিয়ে টিকিট ঠিকঠাক বুঝে নেয়, সেই বিষয়টি বলা হয়েছে। অনেক সময় ভাড়া নিয়ে কন্ডাকটররা টিকিট দিতে চায় না। আমরা যাত্রীদের বলার চেষ্টা করেছি, তারা যেন টিকিট দিতে কন্ডাকটরকে বাধ্য করে। তাহলে এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং এই সিস্টেমটা দাঁড়িয়ে যাবে।

তিনি বলেন, যেহেতু ই-টিকিটিং নতুন একটা বিষয়, কিছু অসঙ্গতি আছে ‌। এটা স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে। আমরা আজ এ বিষয়ে কোনো জরিমানা করিনি। তবে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!