নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদাবাজি,ছিনতাই ও মাদক চোরাকারবারি কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ফিরোজ জোয়ার্দ্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কলারোয়া উপজেলা সদরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একটি দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে কলারোয়া উপজেলা সদরের ফিরোজ জোয়ার্দ্দার এলাকায় চুরি , ছিনতাই , চাঁদাবাজি ও মাদক চোরাকারবারি করে আসছিল। এরমধ্যে সাতক্ষীরার একটি অন লাইন নিউজ পোর্টাল এর কার্ড বাগিয়ে নেয় টাকা খরচ করে। এরপর বেপরোয়া হয়ে ওঠে।সীমান্তে চাঁদাবাজি, মাদক চোরাকারবারিদের নিকট থেকে মাদক নিয়ে সেবন করে আসছিল। ইতিমধ্যে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার হয়েছে কয়েক বার। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় করলেও কিছুটা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল। কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে চাঁদাবাজি ছিল তার প্রধান কাজ।কলারোয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের এক পক্ষের কমিটির সদস্য করা হয় এই মাদক চোরাকারবারিকে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ও লেখা প্রকাশ করে আসছিল।
কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর ইসলাম লাল্টু জানান,সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত রহমানের ভাই ফিরোজ জোয়ার্দ্দার নাম দিয়ে তাকে জড়িয়ে একটি আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন। ফিরোজ জোয়ার্দ্দারের ভাল নাম ইসমাইল হোসেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে গ্রেফতার হয়েছে কয়েকবার।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলায় ফিরোজ জোয়ার্দ্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একাধিক অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত কলারোয়ার ফিরোজ জোয়ার্দ্দার গ্রেফতার


পূর্ববর্তী পোস্ট