এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 34 ভিউস

স্পোর্টস ডেস্ক:

এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের ঘরের মাঠে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৩২ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে জস বাটলার বাহিনী। আগের ম্যাচে ৩ উইকেটে জিতেছিল সফরকারীরা।

ইংল্যান্ডের দেয়া ৩২৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৯৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন। অধিনায়ক তামিম করেন ৩৫ রান।

ইংল্যান্ডের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্যাম কারানের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে লিটনকে সাজঘরে ফেরান জেসন রয়। পরের বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। টাইগার উইকেটরক্ষকের উইকেটও নেন কারেন। তাতে বড়সড় বিপদে পড়ে তামিম ইকবালের দল।

তিন উইকেট হারানোর চাপ সামাল দেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল মিলে। দুজনে মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। এরপর দলীয় ৮৮ রানে অধিনায়কের বিদায়ে আবারও বিপদে পড়ে টাইগাররা। মঈন আলির ওভারে বল উড়িয়ে মারেন তামিম। ছক্কার আশায় বল উড়িয়ে মারলেও তা সীমানার কাছে জেমস ভিন্সের হাতে ধরা পড়ে। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে আউট হন ওয়ানডে অধিনায়ক। এর কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন সাকিবও। তবে আউট হওয়ার আগে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৬৯ বলে ৫ চারে ৫৮ রান করেন সাকিব। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫১তম অর্ধশতক।

এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২৩ রান করে আফিফ বিদায় নিলে একপ্রকার আশার বাতি নিভে যায় টাইগারদের। আফিফকে সাজঘরে ফেরান লেগি আদিল রশিদ। আফিফ আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশের দলীয় রান ছিল ১৬০। স্কোর বোর্ডে আর ৭ রান যোগ হতে না হতেই রিয়াদও সাজঘরের পথ ধরেন। রশিদের বলে আউট হওয়া রিয়াদ ৪৯ বলে করেন ৩২ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন ব্যক্তিগত ৭ রানে। তাসকিন ২১ বলে ২১ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেও অন্যরা তাল দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৩ ওভারের মধ্যেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে জেসন রয়, জস বাটলার ও মঈন আলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পায় ইংলিশরা। শুরুতে সফরকারীদের হাত খুলে খেলতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দলীয় ২৫ রানেই সল্টকে তুলে উইকেটের খাতা খোলেন তাসকিন আহমেদ। এরপর রয়কে সঙ্গ দেন মালান ও ভিন্স। প্রথম ম্যাচের নায়ক মালান এই ম্যাচে বিধ্বংসী হওয়ার আগেই তাকে তুলে নেন মিরাজ। একপ্রান্তে নিজের খেলাটা খেলে যাচ্ছিলেন রয়।

রয়ের সঙ্গে ক্রিজে থেকে বড় জুটি গড়েন ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার। দুইজনের গড়া ১০৯ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ১৩২ করা রয়কে এলবিডব্লিউ করেন সাকিব। রয় আউট হলেও বাটলার অন্যপ্রান্তে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। ৬৪ বলে ২ ছয় এবং ৫ চারের মারে ৭৬ রান করে আউট হন ইংলিশ অধিনায়ক। ততক্ষণে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি উঠে যায়। শেষ দিকে মঈন আলি এবং স্যাম কারানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে ভালো বল করেন তাসকিন আহমেদ। তিনটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। মেহেদী মিরাজ নেন ২ উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পান সাকিব ও তাইজুল।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!