কয়রায় বিয়ের কিশোরকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 55 ভিউস
শালিষী বৈঠক হলেও হয়নি বিয়ে;
টাকার লোভে হয়রানির অভিযোগ;

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা ইউনিয়নে কমবয়সী কিশোরকে বিয়ের নামে ফাঁসানেরা অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আতঙ্কিত কিশোর গ্রাম ছেড়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, কয়েকমাস পূর্বে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আবু বক্কর সিদ্দিক কে বাড়ির পাশে ডেকে নেয় একই গ্রামের ইস্রাফিল গাজীর মেয়ে শারমিন। তারা দুজনেই সমবয়সী। কিন্তু পূর্বের থেকে ওৎ পেতে থাকা শারমিন ও তার পরিবার পরিজন আবু বক্কর পৌছা মাত্র চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। একপর্যায়ে আবু বক্কর সিদ্দিককে হাতেনাতে ধরার অপবাদ দিয়ে প্রচার করে। পরে এ ঘটনায় কয়রা ইউনিয়ন পরিষদে একটি শালিষ বৈঠক হয়। শালিষে উভয় পক্ষ উপস্থিত হয়। সেখানে স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলো। এক পর্যায়ে মেয়ের পরিবার দাবি করে ওই কিশোর ও কিশোরির বিয়ে দিতে। কিন্তু ছেলের বয়স কম হওয়ায় পরিষদে আয়োজিত শালিষে বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরও মেয়ের আত্মীয় স্বজন সেখানে জনৈক হুজুর ডেকে নিয়ে এসে বিয়ের আয়োজন করতে থাকে। আতঙ্কে সেখান থেকে সরে পরে কিশোর। কিন্তু বিয়ে হয়ে গেছে মর্মে প্রচার দিতে থাকে মেয়েটির পরিবার। ফলে বাধ্য হয়ে কিশোর আবু বক্কর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সেই থেকে এখনো বাড়ি ফেরেনি। অন্যদিকে ছেলের বাবা আবুল হোসেন গাজী জানান বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে মেয়ের পরিবার তার কাছে লক্ষাধিক টাকা দাবি করে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় মাছ বিক্রেতা রজব আলী এ ঘটনায় প্রধান ভ‚মিকা পালন করছে।

জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা রজব আলী জানান, ‘চেয়ারম্যান বাহারুল থেকে কিশোর কিশোরির বিয়ে দেয়। বিয়ের পর ছেলের বাবা মেয়ে তুলে নিতে চাইলেও কন্যাপক্ষ মেয়ে দিতে চাইছে। সেই থেকে এ অবস্থাতেই আছে।

তবে এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে কয়রার চেয়ারম্যান বাহারুল ও ৫নং ওয়ার্ডর মেম্বার সোহরাব শেখ এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!