নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলার তালা উপজেলার কুমিরা গ্রামের বাসুদেব বসু নামে এক ব্যক্তি ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে স্বপন কুমার বসু নাম দিয়ে সরকারী ৪৪ শতক জমি ডিসিআর করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যাহার ভিপি ইজারা কেচ নং ৩০/৮৫। কুমিরা গ্রামের বাবু লাল বসুর ছেলে বাসুদেব বসু। ওই জমি ১৯৮৫ সালে কুরিা গ্রামের দীলিপ বসু তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিস থেকে ডিসিআর নিয়ে শান্তি পূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছিল। জানাগেছে ওই তালা উপজেলার কুমিরা মৌজার এসএ ১৫০৫ ও ১৫১৭ খতিয়ানের ১৫০০ দাগের মধ্যে ৫৭ শতক জমির মদ্যে হতে ৩৪ শতক, ১৫০১ দাগের ৩৮ শতকের মধ্য হতে ২১ শতক মোট ৫৫ শতক জমি কুমিরা গ্রামের মৃত প্রফুল্ল বসুর ছেলে দীলিপ বসু ১৯৮৫ সালে ডিসিআর প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ভুমি অফিস থেকে ইজারা নবায়ন করে শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখল করে আসছিল। এরই মধ্যে দীলিপ বসু অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ভাইপো বাসু দেব বসু কে পরবর্তীতে ওই জমি ডিসিআর নবায়নের জন্য দায়িত্ব দেন। সহজ সরল দীলিপ বসুর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কুমিরা গ্রামের বাবুল লাল বসুর ছেলে বাসু দেব বসু জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াতি করে স্বপন বসু নাম ধারন করে ওই ৫৫ শতক ভিপি জমি ইজারা নিতে তালা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিসে আবেদন করেন। এবং ৫৫ শতক জমির মধ্যে ভুয়া স্বপন বসু নামে ৪৪ শতক জমি ডিসিআর নেন। একপর্যায় কাকার বসত ভিটা ১০ শতক জমি ডিসিআর নিতে ভুমি অফিসে আবেদন করলে ভুমি অফিস সরেজমিন তদন্ত শুরু করেন।সার্ভেয়ারসহ ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা কুমিরা গ্রামের স্বপন বসুর সন্ধান করলে প্রকৃত ঘটনাটি বেরিয়ে আসে। প্রকৃত পক্ষে স্বপন বসু নামে কুমিরা গ্রামের বাবু লাল বসুর কোন ছেলে সন্তান নাই। ভোটার তালিকা ও কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ারেশকায়েম সদন পত্র অনুযায়ী কুমিরা গ্রামের বাবু লাল বসুর ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে জয়দেব বসু,বাসুদেব বসু, সুদেব বসু, বুদ্ধদেব বসু ও রত্না নামের এই ৫ সন্তান ছাড়া বাবু লাল বসুর আর কোন সন্তান নাই। অথচ কাকা দীপিল বসুর সরকারের কাছ থেকে ডিসিআর পাওয়া ৪৪ শতক জমি আত্মসাৎ করতে বাবু লাল বসু হঠাৎ নিজের নাম পরিবর্তন করে হয়ে গেলেন স্বপন বসু। জাতীয় পরিচয় পত্র ভুয়া তৈরী করে এমন জালিয়াতির বিষয়ে প্রতিকার পাইতে অসুস্থ দীপিল বসু জেলা প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভুমি)সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্ঠি আর্কষন করেছেন।