নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা এক আসনের সংসদ সদস্য এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ সাথে জেলা নাগরিক অধিকার উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দের এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেন নাগরিক অধিকার উন্নয়ন কমিটির জেলা সভাপতি জিএম নূর ইসলাম। দাবিগুলি হলো- সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেডে রুপান্তরিত করা এবং জনগনের দূর্ভোগ লাগভে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা সেবা নিশ্চিত করা। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত জরুরী বিভাগ চালু করে রোগী ভর্তির ব্যবস্থা করা, জলবদ্ধতা, নিরসন কল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপাশি সকল নদ-নদী ও খালগুলি পুনঃ খননের ব্যবস্থা। ভোমরা পোর্টের সৌন্দর্য বর্ধন করার জন্য জিরো পয়েন্টে গেট নির্মান করা। সাতক্ষীরা কাষ্টম কমিশন অফিস স্থাপনের ব্যবস্থা করা। যশোর, নাভারন থেকে মুন্সিগঞ্জ এবং ভোমরা থেকে খুলনা সড়ক ৪ লেন রাস্তা সহ জাতীয় সড়কে উন্নত করা। সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনকে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান চিহিৃত করা একই সাথে পর্যটকদের জন্য মোটেল নিশ্চিত করা। সাতক্ষীরা পৌর সভায় সুপেয় পানির ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বাইপাস সড়ক খড়িবিলা থেকে বাকাল চেকপোষ্ট পর্যন্ত নতুন আর একটি বাইপাস সড়ক নির্মানের ব্যবস্থা করা। সাতক্ষীরা ঘোলা রাস্তাটি সম্প্রসারনের পাশাপাশি সংস্কার করা। সাতক্ষীরা সকল রাস্তাঘাট সংস্কারের ব্যবস্থা, শহরের নিউমার্কেট মোড়, খুলনা রোড মোড় এবং পাকাপুলের মোড়কে আধুনিক ডিজাইনে সৌন্দর্য বর্ধন করা। পৌর সভা ডাষ্টবিন গুলো নির্দিষ্ট স্থানে নির্ধারন এবং ইনিসিলেরেটর মেশিনের ব্যবস্থা করা। ইজিবাইক, ভ্যান, রিক্সার, জন্য ভাড়া নির্ধারন করা, বাইপাস সড়কের সাথে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করা। শিশুদের বিনোদনের জন্য একটি শিশু পার্ক স্থাপন। একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মানের ব্যবস্থা। খুলনা থেকে চুকনগর ভায়া সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দর পর্যন্ত রেললাইন তৈরী করা। সাতক্ষীরা একটি কৃষি কলেজ ও একটি বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপন করা। প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থা করা। বিনের পোতা থেকে আশাশুনি সড়ক রামচন্দ্রপুর ও দহকুলা হয়ে বাঁকাল চেকপোষ্ট পর্যন্ত বাইপাস সড়ক স্থাপন। সাতক্ষীরা একটি এয়ারপোর্ট নির্মানের ব্যবস্থা করা। সাতক্ষীরা পৌর সভার মধ্যে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন একটি সরকারি কবর স্থানের নির্মান করা। সাতক্ষীরা জেলাকে প্রথম শ্রেণীর জেলার উন্নীত করতে হবে। সংসদ সদস্য এড. লুৎফুল্লাহ দাবি গুলি মনোযোগ সহকারে শোনেন। এসময় তিনি বলেন নাগরিক দাবিগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি বাস্তবায়ন হলে সাতক্ষীরা জেলা অবস্থা স্বাভাবিক ভাবে মডেল জেলায় পরিনত হবে। তিনি নাগরিক কমিটি দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাদের সাথে থেকে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নাগরিকদের দাবি একদিন বাস্তবায়ন হবে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা: আবুল কালাম বাবলা, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, আব্দুর রব ওয়ার্ছি, কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদীকা ফরিদা আক্তার বিউটি, সাংগঠনিক কামরুজ্জামান রাসেল। কোষাধ্যক্ষ সিনিয়ার সাংবাদিক মোহাম্মাদ আলী সুজন, ক্রীড়া সম্পাদক মুছা করিম, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মাদ আলী সিদ্দীকি, আলহাজ্ব আব্দুল গফফার, মোঃ সাহারুল ইসলাম, প্রভাষক মোঃ কামরুজ্জামান নাসির উদ্দীন সুলতান। সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান বাবু।