জেসন রয়ের সেঞ্চুরিতে টাইগারদের সামনে বড় লক্ষ্য

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 26 ভিউস

স্পোর্টস ডেস্ক:

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৬ রান করেছে সফরকারী ইংল্যান্ড। ফলে জয়ের জন্য টাইগারদের করতে হবে ৩২৭ রান।

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৬ রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড।

এটি বাংলাদেশের মাঠে সর্বোচ্চ রান ইংল্যান্ডের। এর আগে মিরপুরে ২০০৯ সালে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান করেছিল ইংলিশরা। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের দলীয় সর্বোচ্চ রান ৩৯১।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৫ রানে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ফিল সল্ট। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে ৭ রান করার সুযোগ পান এই তারকা ওপেনার।

এরপর ডেভিড মালানকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার জেসন রয়। ১৫.৩ ওভারে দলীয় ৮৩ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে আউট হন প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করা ডেভিড মালান। তাকে ১১ রানের বেশি করতে দেননি মিরাজ।

দলীয় ৯৬ রানে তাইজুল ইসলামের বলে আউট হন জেমস ভিন্স। ফিল সল্ট, ডেভিড মালান ও জেমস ভিন্সরা আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নিলেও উইকেট কামড়ে ব্যাটিং করে যান ওপেনার জেসন রয়। তাকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান।

সাকিবের বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লু হন জেসন রয়। সাজঘরে ফেরার আগে ১২৪ বলে ১৮টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে ১৩২ রান করেন ইংলিশ এই তারকা ওপেনার।

এরপর উইল জ্যাকসকেও ফিরতে হয় দ্রুতই। তাকে ফেরান পেসার তাসকিন আহমেদ। এই পেসারের বল লেগে টেনে খেলতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন সাকিবের হাতে। ৪ বল খেলে কেবল ১ রান করেন তিনি। রয়ের ফেরার পর বাংলাদেশের জন্য বড় দুশ্চিন্তা হয়েছিলেন জস বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ক যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেও।

মেহেদী হাসান মিরাজ নিজের বলে নিজেই দারুণ এক ক্যাচ নিলে বাটলারকে ফিরতে হয় সাজঘরে। ৫ চার ও ২ ছক্কায় এর আগে ৬৪ বলে ৭৬ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পর দলকে টেনে নেন মঈন আলী ও স্যাম কারান। তাদের কল্যাণেই তিনশ ছাড়িয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪২ রান করে মঈন ফিরলেও শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন স্যাম কারান। তিনি ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৯ বলে করেন ৩৩ রান।

বাংলাদেশের বোলারদের প্রায় সবাই-ই ছিলেন খরুচে। ছয়ের নিচে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন কেবল তাইজুল ইসলাম। ১০ ওভারে ৫৮ রান খরচায় ১ উইকেট নেন তিনি। ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৩ রান দিয়ে দুই ও সাকিব ৬৪ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে কোনো উইকেটের দেখা পাননি মুস্তাফিজুর রহমান।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!