আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটিকে খাস জমিতে বসবাসকারী হায়দার আলির ঘর, বিচালী গাদা ও ঘেরাবেড়া ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভূমিহীন পরিবারটি।
মৃত হাজরা গাজীর পুত্র হায়দার আলি খরিয়াটি মৌজায় ১নং খতিয়ানে ৩৬১৫ বাটা ৩৬৩৫/২৪ নং দাগে বিলান ৫০ শতক জমি দীর্ঘ ১৮ বছর ভোগদখলে আছেন। সেখানে ঘরবাড়ি ও গাছ-গাছালি লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছেন। জমিটি একই গ্রামের মৃত আছরোফ সরদারের পুত্র আমির আলি ৪০ বছল ভোগদখলে ছিলেন। জেঃপ্রঃসাঃ ৩৪২৬/৮৮-৮৯ (উপজেলা কেস নং ৪৯৫/৮৮-৮৯) অনুযায়ী স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হন আমির আলি ও তার স্ত্রী। কিন্তু কবুলিয়ত সম্পাদন করেননি। এবং ২৮/১/২০০২ তাং আমির আলি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হায়দার গাজীকে ৩৩ শতক জমি হস্তান্তর করেন। সেই থেকে ১৮ বছল ভোগদখলে থেকে বাড়িঘর, গাছগাছালী রোপন করে স্বত্ত্ব ভোগ করে আসছেন। প্রতিপক্ষ মৃত গোলাপ গাজীর পুত্র মোক্তার একই দাগে ০৮ শতক জমি আক্তার ও ছহিল উদ্দিনের নিকট থেকে গ্রহন করে বসবাস করে আসছেন। ৩ বছর আগে সে ১৫ শতক জমি ডিসিআর নিয়ে হায়দারের বসবাসস্থানে কাঠ ঘর ভাংচুর, বিচালী গাদা বিনষ্ট ও ঘেরাবেড়া কেটে যাতয়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি সরেজমিন উপস্থিত হয়ে সীামানা নিদ্ধারণ করে দিলেও পরবর্তীতে তা অমান্য করলে বাধ্য হয়ে তারা ২১ আগষ্ট ৮নং আমলী আদালত সাতক্ষীরার মামলা রুজু করেন। কিন্তু তারা থেকে থাকেনি, বাধ্য হয়ে তারা জিআর ২২৫/১৯ নং মামলা রুজু করলে পুলিশ এক আসামীকে গ্রেফতার করেন। সকল আসামী পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় তাদেরকে হুমকী ধামকী দিয়ে চলেছে। অসহায় হায়দার আলি আইন আদালত, জন প্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
দরগাহপুরে ঘর ভাংচুর ও যাতয়াতের পথ বন্ধ : মামলা করেও নিরাপত্তাহীন ভূমিহীন হায়দার
পূর্ববর্তী পোস্ট