লিটন ঘোষ বাপী/ মোমিনুর রহমান: অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় নিজের হাতে সৃষ্টি সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি স্বপরিবারে পরিদর্শন করেছেন পর্যটন কেন্দ্রটির কারিগর তৎকালীন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রনালয়ের উপ সচিব আ ন ম তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার বিকাল ৪টায় স্ত্রী-সন্তান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে দেবহাটার ইছামতি নদীর অববাহিকায় তৈরী রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনকালে পর্যটন কেন্দ্রটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্বজনদের নিয়ে ইছামতি পাড়ের অপরুপ সৌন্দয্যে উপভোগ করেন।
পরিদর্শনকালে আ ন ম তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ভ্রমণ পিপাসুদের তৃষ্ণা মিটাতে গেলে নিন্মরুপ ব্যবস্থাগুলো গ্রহন করা অতি জরুরি ।
১) জরুরী ভিত্তিতে মহিলাদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম / টয়লেট এর ব্যব¯হা করা। ২) পুকুর/ ঘের এ কমপক্ষে ৫/৬ টি ই›িজন চালিত বোর্ট এর ব্যব¯হা করতে হবে, নতুবা মানুষ একবার এসে দ্বিতীয় বার আসবে না। সময় কাটানোর ব্যব¯হা করতেই হবে। ৩) বাঁশ দিয়ে যে রাস্তা / হাটার ব্যব¯হা করা হয়েছে, সেটি পরিবর্তন করে ¯হায়ী ভাবে চলাচলের উপযোগী করতে হবে। ৪) লেক/ ঘের এর মাঝখান দিয়ে বাশের তৈরি সাকোর পরিবর্তে ফ্লাই ওভার করার ব্যব¯হা করা ৫) বাচ্চাদের জন্য দোলনা টাইপ কিছু ¯হাপন করতে হবে। ৬) নদীর ধার দিয়ে যে রাস্তা আছে, সেটি পিচ করে দেয়া ৭) লেক / ঘেরটি তে মৎস্য চাষ করতে হবে বা লীজ দিয়ে আয়ের উৎস বাড়াতে হবে। আমার সময় এটাই ছিল একমাত্র আয়ের উৎস। ৮) পৃথক রেস্ট হাউজ তৈরি করতে হবে ৯) যে টুকু কাজ করা হোক না কেন, তা ¯হায়ী ভাবে করতে হবে। অ¯হায়ী কাজ করা বন্ধ করতে হবে। ১০) সরকার যেহেতু বরাদ্দ দিয়েছে, তাই এটিকে নান্দনিক করতে টেকনিক্যাল হ্যান্ডের সহায়তা নেওয়া। তাহলে কেবল ভ্রমণ পিপাসুদের তৃষ্ণা মিটবে।
এ সময় দেবহাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক সুজন ঘোষ, সহ-সভাপতি দিপঙ্কর বিশ্বাস, যুগ্ন-সম্পাদক লিটন ঘোষ বাপি, অর্থ সম্পাদক সন্নাসী মন্ডল, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আবুল কাশেম, সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, পর্যটন কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপক দীপঙ্কর ঘোষ, দেবহাটা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।