পর্ব-২: নাশকতা মামলার আসামী হাজিপুরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 81 ভিউস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

একাধিক নাশকতা মামলার আসামির স্থান হয়েছে ঝাউডাঙ্গার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে। তাদের মধ্যেই কয়েকজনকে কার্যকরী সদস্য করার চক্রান্তে ক্ষিপ্ত ওই কমিটির সদস্যরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মৃত ছদর উদ্দিন দালালের ছেলে জামায়ত কর্মী জিয়ারুল ইসলাম (আ,লীগের টিকিট নং ৪৮৩৪২৪৬), আব্দুল মোতালেবের ছেলে নাশকতা মামলার আসামি মনিরুল ইসলাম (টিকিট নং ৪৮৩৪২৪১), শওকাত আলীর ছেলে জামায়ত সমর্থক শফিকুল ইসলাম (টিকিট নং ৪৮৩৪২৬০), নুর ইসলামের ছেলে জামায়ত সমর্থক শাহাজান আলী (টিকিট নং ৪৮৩৪২৭৬) সহ আরো অনেক নাশকতা মামলার আসামী ও জামায়ত নেতা-সমর্থক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভোটার তালিকায় আছে। তাদের মধ্যে একাধীক নাশকতা মামলার আসামী রং মিস্ত্রি মনিরুল ইসলাম ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে প্রার্থী সিদ্দিকুলের ভাই।

হাজিপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একাধীক নেতা ও কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় এক যুগের আগে হাজিপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। সে সময় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থান পায় সিদ্দিকুল। অন্যদিকে তার পরিবারের প্রায় সব সদস্যই জামায়াত ও তাদের নাশকতার সাথে জড়িত। সিদ্দিকুলের আপন ছোট ভাই রং মিস্ত্রি মনিরুল একাধীক নাশকতা মামলার আসামী। তার আরেক ভাই রবিউলও নাশকতা মামলার আসামী। সেই মামলায় ২০১৬ সালে তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে রবিউল ও সিদ্দিকুলদের পরিবারের হামলার শিকার হয় এস আই ওহিদ ও এসআই সোহরাব। তাদের মেরে পালিয়ে যায় রবিউল। সেই মামলা এখনো চলমান আছে। অন্যদিকে খোদ সাবেক সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী ২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি মাওঃ সাইদীর মুক্তির দাবীতে ঝাড়– মিছিল করেছে। বেশ কিছুদিন আগে নিজ ওয়ার্ডের আনছার আলীর স্ত্রীর কাছ থেকে জমি দখল করিয়ে দেয়ার নামে একলক্ষ বিশ হাজার টাকা নিয়ে দখল বুঝিয়ে দিতে পারেনি। টাকা ফেরত না পেয়ে আনছার আলীর স্ত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সেই টাকার কিছু অংশ ফেরত দেয়। বাকিটা এখনো বাকি। এধরনের চিত্র পুরো ওয়ার্ড জুড়ে। তবে শুধু একটি ওয়ার্ডে এরকম নয়। প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের অবস্থা একই। তবে ঝাউডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের এ অবস্থার পেছনে কয়েকজন পাতি ও একজন হেভিওয়েট নেতার কারসাজি আছে বলে জানা যায়। যা আগামী পর্বে প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, রবিবার বিলুপ্ত করা হয় ঝাউডাঙ্গার হাজিপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি। তবে পাতানো নির্বাচন দেওয়ার অভিযোগে এস এম শওকত হোসেনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। ফলে নির্বাচন বাতিল করে সভাস্থল ত্যাগ করেন আওয়ামী নেতৃবৃন্দ। (চলবে)………



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!