নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকালে সায়েদ হোসেন (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে কোকাকোলার সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সোমবার (২৮অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাঁকালে ডিসি ইকো পার্ক সংলগ্ন রাস্তার ধারে এ ঘটনা ঘটে। সায়েদ হোসেন ভোমরা গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, আলিপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মারুফের কাছে পাওনা ৪০ হাজার টাকা চাইতে যায় সায়েদ হোসেন। এসময় মারুফসহ আরো অজ্ঞাত তিনজন বন্ধুকে নিয়ে কৌশলে ডিসি ইকো পার্কের রাস্তার পাশে নিয়ে যায়। এসময় মারুফ সায়েদ হোসেনকে বলে বন্ধু তুমি ঠান্ডা খাও আমি তোমার টাকার ব্যবস্থা করছি। সে কৌশলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কোকোকোলার সাথে চেতনানাশক খাইয়ে দেয় এবং তাকে বেধরক মারপিট করে এবং গলাটিপে শ^াসরোধ করার চেষ্টা করে। এসময় বায়েদ হোসেন অজ্ঞান হয়ে পড়লে মারুফসহ তার বন্ধুরা মৃত ভেবে তাকে ডিসি ইকো পার্কের পাশের ঘেরের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সায়েদের জ্ঞান ফিরে আসে এবং তার স্ত্রীর কাছে ফোন করে মারুফ আমাকে কি খাইয়ে দিয়েছে এবং আমাকে মেরে মৃত ভেবে ফেলে রেখে গেছে আমি চলতে পারছিনা তোমরা আমাকে বাঁচাও। তখন পরিবারের অন্যান্যরা মিলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সংগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় সায়েদের শারিরিক অবস্থার অবনতি দেখে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতাল এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করা হয়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় সদর থানার এসআই মহসীন প্রাথমিক তথ্য নেন।
এব্যাপারে সায়েদ বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর আগে শাঁখরা কোমরপুর ফুটবল মাঠে খেলা দেখার সময় মারুফের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে একটা চাকুরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু চাকুরি না দিতে পারায় আমার টাকা ফেরত দিবে বলে সময় নেয়। এভাবে দীর্ঘদিন কেটে যায়। সম্প্রতি শহরের নিউ মার্কেট মোড়ে মারুফের সাথে আমার দেখা হয়। আমি টাকা চাইলে সে বলে আগামী ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় আলিপুর ফিলিং স্টেশনের সামনে গেলে আমার টাকা দিয়ে দেবে। তার কথা মতো আমি সেখানে যায় এবং মারুফসহ ৩জন মিলে কৌশলে আমাকে ডিসি ইকো পার্কের রাস্তায় নিয়ে যায় এবং ঠান্ডা খাওয়ার কথা বলে। আমি সরল মনে তাদের সাথে বসে কোকোকোলা খাই এবং অচেতন হয়ে পড়ি। তখন তারা আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে চোখ বেধে গলা টিপে ধরে। পরে মৃত ভেবে আমার হাত বেঁধে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। এব্যাপারে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সায়েদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। এব্যাপারে ভূক্তভোগির পরিবার ও সচেতন মহল দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্ট্রান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
বাঁকালে পাওনা টাকা চাওয়ায় হত্যার চেষ্টা


পূর্ববর্তী পোস্ট