প্রধান প্রতিবেদক: বাংলাদেশী গরু রাখালের উপর হামলা চালিয়েছে ভারতীয়রা। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা কুশখালির ছয়ঘরিয়ার বিপরীতে ভারতের দুবলি এলাকায় বুধবার ভোর রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত সদর উপজেলার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে খোকন (৩০)। বর্তমানে গুরুতর আহত যুবক খোকন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কুশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুশখালীর গরুর খাটালের মালিক শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মক্তবমোড় এলাকার শীর্ষ চোরাকারবারী মাদুলী ও কুশখালীর রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে মঙ্গলবার কয়েকজন গরু রাখাল চোরাইপথে ভারতে গরু আনতে যায়। গরু নিয়ে ফিরে আসার সময় ভারতের দুবলি এলাকায় তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে ভারতীয়রা। মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয় রাখাল খোকন। পরে সহযোগীরা তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। গুরুতর আহতাবস্থায় খোকনকে সাঈদুল ইসলাম নামে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কাউকে ভারতে গরু আনতে পাঠায়নি। এছাড়া কারো উপর হামলা হয়েছে এমন ঘটনা আমার জানা নেই।
সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই নুর আলম বলেন, আমি তথ্য পেয়েছিলাম বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে এক যুবক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরপর হাসপাতালে গিয়ে জেনেছি, গুলি নয় তার মাথায় কোপানো হয়েছে। সে হাসপাতালে সাঈদুল ইসলাম নামে ভর্তি হয়েছে। গুরুতর আহত থাকায় বিস্তারিত কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বলেন, বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকের জন্য বুধবার সারাদিনই ভারতে ছিলাম। সন্ধ্যার পর ফিরেছি। বাংলাদেশী কোন যুবকের উপর হামলার ঘটনার কোন খবর পাইনি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
বাংলাদেশী রাখালকে কোপাল ভারতীয়রা
পূর্ববর্তী পোস্ট