স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্রিকেটের অন্যতম ব্যস্ততম মাঠ মিরপুর শের-ই-বাংলা। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করা এই মাঠের দম ফেলার ফুরসত থাকে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ঘরোয়া ক্রিকেট, প্রীতি ম্যাচ, নানা উৎসবে কনসার্ট আয়োজনে বারবার মিরপুর শের-ই-বাংলা যেন প্রধান ভরসা।
মিরপুরের এই সবুজ গালিচা আজ অন্যরকম এক মাইলফলক ছুঁয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে দিয়ে ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সাক্ষী হলো শের-ই-বাংলা। পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল মিরপুরে খেলছে শততম ওয়ানডে ম্যাচ। এক ম্যাচে দুই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ ক্রিকেটের পয়মন্ত এ ভেন্যু।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্রিকেট-ফুটবলের লম্বা সময়ের স্নায়ু যুদ্ধের পর শের-ই-বাংলায় স্থায়ী হয় ক্রিকেট। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে শের-ই-বাংলায় চলে আসে ক্রিকেট। ফুটবল স্থায়ী হয় বঙ্গবন্ধুতে। ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে দিয়ে শের-ই-বাংলায় যাত্রা শুরু করে ক্রিকেট। সেই থেকে মিরপুরের এই মাঠ দেশের মূল ক্রিকেট ভেন্যু।
সেই মিরপুর স্টেডিয়াম আজ আন্তর্জাতিক ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করলো। যেখানে ওয়ানডে হয়েছে ১১৭টি, টি-টোয়েন্টি ৫৯টি ও টেস্ট ২৪টি।
বড় ম্যাচ আয়োজনেও বেশ সুনাম রয়েছে এই মাঠের। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের উদ্বোধনী ম্যাচ হয়েছিল ২৫ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামে। এরপর বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা নিউ জিল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচও হয়েছিল মিরপুরে। সব মিলিয়ে ওই বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচ হয়েছিল এই স্টেডিয়ামে। এছাড়া ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব বড় ম্যাচগুলো আয়োজিত হয়েছিল এই মাঠেই।
আয়োজনের পাশাপাশি অর্জনেও এগিয়ে মিরপুর। ২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হারানো। ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলা। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয় অন্যতম বড় সাফল্য হয়ে আছে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে করেছে সমৃদ্ধ। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনালও খেলেছিল বাংলাদেশ।
সব মিলিয়ে নানা অর্জনে, প্রতিকূলতা পেরিয়ে সাফল্যের সূর্য দেখায় মিরপুর বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় সাক্ষী হয়ে আছে। আজ সেই মিরপুর পূর্ণ করলো ডাবল সেঞ্চুরি। সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরও হলো সেঞ্চুরি।