যে যুক্তিতে বেলারুশে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার গড়ার ঘোষণা পুতিনের

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 55 ভিউস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বেলারুশে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার গড়ার কথা সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এই সিদ্ধান্তে প্রবল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সিদ্ধান্তে অনড় পুতিন বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে রুশ সেনা বাহিনীকে ওই অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেবে রাশিয়া। ১ জুলাইয়ের মধ্যেই বেলারুশের মাটিতে নতুন পরমাণু অস্ত্রাগার তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।

পুতিনের এই সিদ্ধান্তে পরমাণু যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা করছেন অনেকে। রুশ প্রেসিডেন্ট অবশ্য জানিয়েছেন, বেলারুশের মাটিতে পরমাণু অস্ত্র মজুত করা হলেও তার নিয়ন্ত্রণ থাকবে মস্কোর হাতেই। তার দাবি, এর ফলে কোনওভাবেই তা ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু অস্ত্র সংবরণ’ নীতি লঙ্ঘন করবে না। ন্যাটোর সদস্য দেশ আমেরিকা এতদিন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘাঁটি গড়ে পরমাণু অস্ত্র মজুত করেছে। বেলারুশে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার গড়ার এই সিদ্ধান্তের পিছনে সেই যুক্তিকেই খাড়া করেছেন পুতিন।

তবে পুতিনের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ইউরোপ থেকে নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডার কোনওভাবে সরানো হবে না বলেই জানিয়েছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর। তারা বলেছে, “আমরা ন্যাটোর সদস্য। ন্যাটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গেই যুক্ত থাকব।”

বেলারুশের সীমান্ত বরাবর ইউক্রেন ছাড়াও রয়েছে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়ার মতো নেটোভুক্ত দেশগুলো। ফলে পুতিনের এই সিদ্ধান্ত শুধু ইউক্রেন নয়, ন্যাটোভুক্ত দেশ-সহ গোটা ইউরোপের পক্ষেও উদ্বেগের বলে মনে করা হচ্ছে।

নব্বইয়ের দশকের পরে এই প্রথম দেশের বাইরে পরমাণু অস্ত্রের ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে রাশিয়া। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয় রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। ১৯৯৬ সালের মধ্যে অন্য দেশ থেকে সেনা ও সমরাস্ত্রের ঘাঁটি পুরোপুরি নিজেদের সীমানায় সরিয়ে আনে মস্কো। সূত্র: রয়টার্স



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!