জিয়াউর রহমান, শ্যামনগর: শরৎকালের ফুটন্ত কাশফুলের দৃশ্য যা হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বহুদেশ ঘুরে বহু ব্যয় করে দেখিতে গিয়েছি পর্বত্য মালা- দেখতে গিয়েছি সিন্ধু দেখা হলো না। চক্ষু মেলিয়া ঘর হইতে দুই পা বাহিরে ফেলে দেখতে পাই একটি ধানের শিশির উপর একটি শিশির বিন্দু। শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে অবস্থিত নৌ-থানার ভিতরে দেখা যায় শরতের অপূর্ব সৌন্দর্য্যের এই কাশফুল বাগান। কাশফুল বাগানের এই ছবিটি তারই প্রমান বহন করে। যার অবদান নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান হাবিব ও কর্মরত পুলিশ সদস্যদের। স্বচোক্ষে না দেখলে সৌন্দর্য উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। মন চায় এই কাশ ফুলের মাঝে হারিয়ে যেতে, মন চায় এই ফুল বাগানের লিলা ভূমিতে লুকোচোরি খেলতে। মনে পড়ে যায় ছোট বেলার সেই সোনালী দিন গুলোর কথা। সবুজ ধান ক্ষেত ফুটান্ত ফুলের বাগানে হারিয়ে যেতে, লুকোচুরি খেলার কথা। বুড়িগোয়ালিনী নৌ-থানার পাশেই অবস্থিত বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। দুর দুরন্ত থেকে আশা ভ্রমনকারিরা যদি এই কাশ ফুল বাগানের সৌন্দর্য দেখতে পেতো তবে সুন্দরবন ভ্রমন করার অর্ধেক পিপাসা মিটে যেতো। এই অপরুপ সৌন্দর্যের মহা নায়ক মহান আল্লাহ তায়ালা। সকল সুন্দর সব কিছু তারই দান। নদীতে থাকা লক্ষাধিক প্রজাতির মাছ এবং হাজারো প্রজাতির পাখির কলকাকলীতে মুগ্ধ এই সুন্দরবন এবং বিশ্বখ্যাত মধুও অন্যতম। বাঘ-হরিণ আর হাজারো বৃক্ষের সমারোহ যা ভ্রমনকারীদের মুগ্ধ করে। শুকরিয়া জানাই সেই মহান সৃষ্টি কর্তার দরবারে। মধুর স্মৃতি মাখা সেই জীবনে। যা কোনোদিন আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। জীবন যার আছে মৃত্যুর স্বাদ তাকে অবশ্যই নিতে হবে। দোয়া করি হে আল্লাহ ইমানের সাথে মৃত্যু দিও। এই কাশফুলের মত নিষ্পাপ করে।
শরতে উপকূলীয় অঞ্চলে কাশফুলের সমারোহ
পূর্ববর্তী পোস্ট