সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগর উপজেলার আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জগলু -দোলন সভাপতি হওয়ার বাতাস বইছে। আগামী ০২ ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা এবং ১৬ নভেম্বর শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। উক্ত সম্মেলনের দিন-ক্ষন যতই এগিয়ে আসছে ততই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে শ্যামনগরের স্বর্ব স্তরে আলোচনার ঝড় বইছে। চারিদিকে সাজ সাজ ভাব ও মানুষের মধ্যে এক ধরণের উল্লাস বিরাজ করছে। বিশেষ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম জগলুল হায়দার এমপি ও শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলনের মধ্যে অতীতের বিভেদ ভূলে ঐক্যের সুর বেজেছে। ঠিক তখনই জগলু-দোলনের জোয়ারে ভেষে গেছে প্রতিদ্বন্দিরা। গোটা উপজেলায় যারা কাউন্সিলর হয়েছে তারাই ঐক্য বদ্ধ হয়ে গাইছে জগলু-দোলনের গান। রমজাননগর ইউনিয়নের কাউন্সিলর পতিত পাবন মন্ডল ও ফারুক হোসেন জানান, আগামী ০২ ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দীতা বিহীন সভাপতি সম্পাদক হতে যাচ্ছে জগলুল হায়দার ও আতাউল হক দোলন। বেশ কিছুদিন ধরে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দীতা করার জন্য কাঁশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক গাজী আনিছুজ্জামান আসিচ প্রতিদ্বন্দীতা করবেন বলে শোনা গেলেও বর্তমানে তার কোন কার্যক্রম লক্ষ করা যাচ্ছে না। কোন কাউন্সিলরাও সঠিকভাবে বলতে পারছে না গাজী আনিছুজ্জামান আসিচ এর কথা। আর প্রথম থেকেই সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দীতা করার কোন প্রতিদ্বন্দী চোখে পড়েনি। গত উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আতাউল হক দোলনের প্রতিদন্দী ছিলেন গাজী আনিছুজ্জামান আসিচ। ০৩ ভোটে গাজী আনিছুজ্জামান আসিচ পরাজিত হলে আতাউল হক দোলন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। আগামী ০২ ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সকল প্রস্তুুত সম্পন্ন হয়েছে। চলছে সম্মেলনের প্রচার প্রচারণার মাইক। আগামী ০২ ডিসেম্বর শ্যামনগর উজজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে ৪৫৮ জন কাউন্সিলরের ভোট প্রয়োগ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রতি ইউনিয়ন থেকে ৩১ জন উপজেলা আওয়ামীলীগের ৭১ জন ও কো-অপশনে ১৫ জন ভোটার রয়েছে।
শ্যামনগর আ’লীগের সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দীতা বিহীন আলোচনায় জগলু-দোলনের নাম


পূর্ববর্তী পোস্ট