সহযোগীতা করুন, আমি আপনাদের চেয়ারম্যান -বিশেষ সাক্ষাৎকারে শিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 24 ভিউস

আহাদুর রহমান জনি:

সম্প্রতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। জনগনের চাওয়া পাওয়া নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকারে আমাদের সাথে ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৫নং শিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ। তিনি জনগনের সুখ-দুঃখের কথা আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন জনগণের জন্য তিনি নিবেদিত প্রাণ। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

ইউনিয়নটাতো আপানার। এর উন্নয়নকল্পে এই এক বছরে কি করেছেন। জবাবে মি. কালাম জানান, সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় আমার ইউনিয়নে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই আবাদের হাটখোলা থেকে ঝিটকি রাস্তার প্রায় পৌণে পাঁচ কিলোমিটার ৮০% কাজ শেষ হয়েছে। বুদোরডাঙ্গি হইতে শিবপুর অভিমুখের রাস্তাটি হেরিংবোন্ডের কাজ চলমান আছে। ইতোমধ্যেই পরানদহা হইতে পায়রাডাঙ্গা রাস্তাটির বরাদ্দ আসছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য কয়েকটি খাল খননের প্রয়োজন যেগুলো প্রক্রিয়াধীন আছে।

নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জনগনের অভিযোগ থাকে জনপ্রতিনিধিরা পাশে থাকে না, তিনি তো চেয়ারম্যান। আপনি কি করেন। উত্তরে মি. আজাদ জানান, ‘আমি নির্বাচনের পরে সব মানুষের চেয়ারম্যান আমি। আমাকে পাওয়ার জন্য আমার মোবাইল ২৪ ঘন্টা আমি খোলা রাখি। ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত সময়ে আমি ইউনিয়ন পরিষদে থাকি। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের দূরবর্তীস্থানের মানুষ যেন আমাকে প্রয়োজনে পাশে পায় তাদের স্বার্থেই আবাদেরহাটে একটি অফিস নিয়ে সেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত অবস্থান করি। যেন আমার সাধারণ মানুষ আমার সাথে যে কোন প্রয়োজনে দেখা করতে পারে। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা যেন আমাকে খুঁজতে গিয়ে ভোগান্তিতে না পরে। এছাড়াও সপ্তাহে দুই দিন বাঁশতলা ও পায়রা ডাঙ্গাতেও বসি। যেন তারাও আমাকে কাছে পায়। রুটিন মাফিক প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই জনগনের সাথে বসি, তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনি। এছাড়াও প্রত্যেক জুম্মার নামাজ আমার ইউনিয়নের ভিন্ন ভিন্ন মসজিদে আদায় করি। নামাজ শেষে মুসল্লিদের সাথে কথা বলে তাদের অভাব অভিযোগ শুনি। সেগুলো পূরণের জন্য সাধ্য মতো চেষ্টা করি।’

‘জনসাধারণের সুবিধার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও সরকারি কর্মচারী নিয়োগ দেয়া আছে যেন কৃষি বা অন্যান্য খাতে জনগন সেবা পায়। সেগুলো জনগণ সঠিক ভাবে পাচ্ছে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান এস এম কালাম জানান, ‘আমার ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট যে সমস্ত উপজেলা কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা আছেন, আমি তাদেরকে নিয়ে প্রতিমাসে একবার করে সভা আয়োজন করি। সেখানে ইউনিয়নে কোথায় কি সমস্য আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কিভাবে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কোন সমস্য আছে কিনা, মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে নাকি পাচ্ছে না, পুলিশের বিট অফিসাররা আছেন তাদের কাছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেই যেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। প্রাণী সম্পদের পক্ষ থেকে যে ডাক্তার আছে, মৎস অধিদপ্তরের যে কর্মকর্তারা ও প্রতিনিধিরা আছে সকলের সাথে যোগাযোগ করে সমন্বয় সাধন করি যেন জনগন সরকারের দেয়া এসব সেবা পায়। তাদের সকল কার্যক্রমের ওপর আমরা লক্ষ্য রাখি এবং মাসিক সভায় তাদের কর্মপরিকল্পনা দিয়ে থাকি।

ভাতাভোগীরা কি সেবা পায় আপনার ইউনিয়ন থেকে? জবাবে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সরকারের লক্ষ্য ছিলো শতভাগ বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা ভোগীদের কাজ ৮০ভাগ শেষ। শতভাগ লক্ষ্য পূরণে কাজ চলছে। আমি ও আমার ইউনিয়নের মেম্বারা এ বিষয়ে আন্তরিক।’

ইউনিয়নের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভবন প্রয়োজন। খানপুর সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা, পরানদহা মহিলা মাদ্রাসায় ভবন সংকটে অসুবিধা হচ্ছে।’

সবশেষে জনগনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের যে কোন সহযোগীতায় আমাকে চব্বিশ ঘন্টা পাশে পাবেন। কোন সংকোচ করবেন না। ভুলত্রুটির উর্দ্ধে কেউ নয়। তাই ভুলগুলো দেখিয়ে দিন। আমাকে সহযোগীতা করুন। আমি আপনাদের চেয়ারম্যান।’



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!