সাতক্ষীরায় যক্ষারোগ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে মতবিনিময়

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 29 ভিউস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘বিনিয়োগ করি যক্ষা নির্মুলে, জীবন বাঁচাই মিলে’ শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় যক্ষারোগ প্রতিরোধ ও রোগী সনাক্তকরণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে নাটাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভায় নাটাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. সবিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরহাদ জামিল, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের ডিএসএমও ডা. ত্রিতীর্থ ঘোষ, নাটাব কেন্দ্রীয় অফিসের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জিয়াউর রহমান, নাটাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের ডিএসএমও ডা. ত্রিতীর্থ ঘোষ শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে সচেতনতার অভাবে যক্ষা রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য পাঁচ বছরের নিচে সকল শিশু এবং ৬০ বছরের উর্ধ্বে সকল বয়স্কদের যক্ষার লক্ষণ থাক বা না থাক সবাইকে যক্ষাপ্রতিরোধী চিকিৎসা বা টিপিটি গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। এজন্য ৫ বছরের সকল শিশু এবং ৬০ বছরের উপরে সকলকে যক্ষা প্রতিরোধি চিকিৎসা (টিপিটি) গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা জেলার ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের যক্ষা রোগের বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৭২০ জন রোগির পরীক্ষার পর ৩০০ জন রোগি সনাক্ত হয়। এরমধ্যে রোগি ১৯৫, নেগেটিভ ৫৮ জন, ফুসফুস বহির্বুভ রোগির সংখ্যা ২৬ জন, ডিটিটমেন্ট ২০ জন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ববধায়নে ছিলেন নাটাব কর্মকর্তা তরুন কুমার বিশ্বাস। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার (ডিপিও) উজ্জল কুমার পাল।

সাতক্ষীরা জেলার ৩০জন শিক্ষকদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ফুসফুসে যক্ষার প্রধান লক্ষণ হলো এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি। নিয়মিত ও পূর্ণ মেয়াদের চিকিৎসায় যক্ষা সম্পূর্ণ ভালো হয়। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে। অনিয়মিত ঔষধ সেবনের ফলে যক্ষা রোগ স্থায়ী হতে পারে। এজন্য যক্ষা হলে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, রাতে জ্বর আসা, বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট এমন লক্ষণ দেখা দিলে ফুসফুসে যক্ষা হওয়ার লক্ষণ। যক্ষারোগের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যক্ষা একটি জীবানু ঘটিত সংক্রামক রোগ। একনগাড়ে দুইসপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে কফ পরীক্ষায় রোগ সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষা সম্পূর্ণ ভালো হয়। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময়ে রুমাল ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশের সকল জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা ও যক্ষা চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ সরকার যক্ষারোগীর জন্য সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসার সমস্ত ঔষধ বিনামূল্যে বহন করে।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!