নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট অনিমেশ। গাড়ী ধরার অভিযানে উৎকোচের টাকা না পেয়ে সাধারন মানুষের সাথে খারাপ আচরন সহ বিভিন্ন গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এমন ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাপ্তাহিক সূর্য্যরে আলো পত্রিকার সম্পাদক আব্দুর ওয়ারেশ খান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) সকাল ১২ টার সময়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে চায়না বাংলা শপিং সেন্টারের সামনে অভিযান পরিচালনার সময়ে সার্জেন্ট অনিমেশ তাকে গতিরোধ করে। আব্দুর ওয়ারেশ খান চৌধুরী গাড়ী রাখার সাথে সাথে সার্জেন্ট অনিমেশ গাড়ী থেকে চাবি উঠিয়ে নেয় এবং তাকে কাগজ দেখাতে বলে। সে সময়ে তিনি ভুলক্রমে গাড়ীর কাগজ বাসায় ফেলে এসেছি জানালে তাকে পায়ে হেটে কাগজ বাসা থেকে কাগজ আনার জন্য বলে সার্জেন্ট অনিমেশ । আব্দুর ওয়ারেশ খান চৌধুরী তার পরিচয় দিলেও সার্জেন্ট অনিমেশ তার সাথে খারাপ আচরন করে। প্রায় একই সময়ে সাতক্ষীরা বিআরটি অফিসে মোটরসাইকেল দেখিয়ে ফাইল জমা দিয়ে সাতনদী পত্রিকার অফিসে মোটরসাইকেল যাওয়ার পথে সাতনদী পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি আব্রাহাম লিংকনকেও গাড়ী থামাতে বলে সার্জেন্ট অনিমেশ। সাংবাদিক আব্রাহাম লিংকন গাড়ী থামায় এবং বলে আমি বিআরটি অফিসে মোটরসাইকেলের কাগজ জমা দিয়ে এসেছি। একটু পরে জমার রিসিভ দেবে। সার্জেন্ট অনিমেশ কড়া মেজাজে বলেন, আপনি মিথ্যা বলছেন ১০ মিনিটের মধ্যে কাগজ দেখাবে, না হলে মামলা দেবে বলে হুমকি দেয়। আব্রাহাম লিংকন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে অগত্যা পায়ে হেঁটে বিআরটি অফিস থেকে ফাইল জমার রিসিভ, ড্রাইভিং লাইন্সেস, ইন্সুরেন্স সহ প্রয়োজনীয় কাগজ দেখানোর পরও ট্রফিক সিগনাল অবমাননার মিথ্যা অজুহাতে মামলা দেয় সার্জেন্ট। এখানেই শেষ নয়। গাড়ীর কাগজপত্র থাকলেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অবৈধ উৎকোচ আদায় করতে না পারলে সার্জেন্ট অনিমেশ কাগজ পত্র থাকলেও কোন না কোন অজুহাতে মামলা দিয়ে থাকে বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগে জানায়। এমনকি যাদের আদৌ কাগজ নেই সার্জেন্ট অনিমেশ তাদের কাছ থেকে গোপন উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে সহসাই এসব গাড়ি সামনে দিয়ে হার-হামেশায়। এ বিষয়ে সার্জেন্ট অনিমেশ বলেন, আমি সরকারের চাকুরী করি, সাংবাদিক দেখার সময় নেই। তবে অযথা হয়রানীমূলক তার এ ধরনের আচরনে ক্ষুদ্ধ হয় উপস্থিত পথচারী সহ সাধারণ মানুষ। তাই সার্জেন্ট অনিমেশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী সচেতন মহলের।