‘৪০০ রান হলেও সাকিব ও আমি জেতার চেষ্টা করতাম’

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 66 ভিউস

স্পোর্টস ডেস্ক:

স্যাম কুরানকে এবারের আইপিএলে ১৮.৫০ কোটি রুপিতে কিনেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। যা আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। কেন তাকে এতোটা অর্থ দিয়ে কিনেছে পাঞ্জাব তার প্রমাণ পাওয়া গেল মিরপুরের ২২ গজে।

ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন কুরান। পরবর্তীতে বল হাতে ২ ওভারে তার শিকার ৩ উইকেট। পরবর্তীতে লেজের দিকে নেন আরো এক উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলতে বড় ভূমিকা রেখেছেন এ ক্রিকেটার।

তবে ওপেনার জেসন রয়ের অসাধারণ ইনিংসেই ম্যচটা নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড। তার ১৩২ রানের ঝকঝকে ইনিংসে ইংল্যান্ড ৩২৬ রানের বিশাল পুঁজি পায়। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯৪ রানে শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। ম্যাচ হেরে যায় ১৩২ রানে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর তামিম ও সাকিব প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১১১ বলে করেন ৭৯ রান। কিন্তু তা দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। মূলত ধীর গতির ব্যাটিংয়ের াকরণেই ম্যাচ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে বাংলাদেশ। তবে তামিম ধীর গতির ব্যাটিংকে ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে দেখছেন না।

‘১২-১৫ বছর আগে যদি আমরা এই পরিস্থিতিতে থাকতাম তাহলে হতো কি, আমরা একটা সম্মানজনক স্কোরের কথা চিন্তা করতাম। যখন ৩-৪টা উইকেট পড়ে গেছে। সাকিব ও আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম জেতার জন্যই চিন্তা করছিলাম। কারণ আপনাকে আবার ইনিংস গড়ে তুলতে হবে। যখন ৩ উইকেট পড়ে যাবে আপনাকে একটু সময় নিতে হবে। আমরা চাচ্ছিলাম যে, যতটুকু আমরা আগাতে পারি। আগেই যদি হার মেনে নিতাম তাহলে খেলাটা হতো অন্যরকম। অমি মনে করি না আমরা ওই পর্যায়ে আছি। ওরা চারশ রান করলেও আমি ও সাকিব চেষ্টা করতাম। আমরা পারি না পারি, সেটা ভিন্ন কিছু। আমি মনে করি আমি ও সাকিব যখন ব্যাটিং করেছি দুজন চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওই ৩০-৩৫ বা ৫০ রানে এই ধরণের লক্ষ্য তাড়া করা যাবে না।’

তামিম নিজেদের জুটির কথা বারবার বললেও ম্যাচে সেই চিত্র অবশ্য ছিল না। সাকিব সুযোগ সৃষ্টি করে দ্রুত রান তোলার আগ্রহ দেখালেও তামিমের মধ্যে লড়াইয়ের কোনো তাড়নাই ছিল না। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের আরও সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছিলেন। তাতে চাপ বাড়ছিল সাকিবের ওপর। প্রথম ৩৩ বলে ২৪ রান করা তামিম পরের ১১ রান করেন ৩২ বলে। খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে মঈন আলীর বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা উড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লং অফে আটকে যান ভিঞ্চের হাতে। সাকিব আরেকপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে ফিফটি তুলে নিলেও তার ব্যাট বেশিদূর যায়নি। ৬৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ব্যাটিংয়ে আরো আক্রমণাত্মক হওয়ার সুযোগ ছিল কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন,‘যখন প্রথম ওভারে দুই উইকেট হারাবেন এবং তৃতীয়টা (উইকেট) তৃতীয় ওভারে, তখন আপনি যে বিপর্যয়ে পড়বেন সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আপনাকে সময় দিতে হবে। পুনরায় লড়াই শুরু করতে হবে। যেটা সাকিব ও আমি চেষ্টা করেছিলাম। ৩২৬ রান তাড়া করতে গেলে কাউকে না কাউকে কোনো না কোনো সময় সুযোগ নিতেই হতো। আমি যখন সেই সুযোগটি নিতে যাই, দূর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা কাজে লাগেনি। কিন্তু ২ ওভারে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩২৬ রান তাড়া করে জেতা কঠিন।’

উইকেটে থিতু হওয়ার পর ব্যাটসম্যাদের থেকে বড় রান না আসায় চিন্তিত তামিম। দুই ওয়ানডেতেই ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা দেখিয়েছে কিভাবে ইনিংস বড় করতে হয়। মালান প্রথম ওয়ানডেতে ১১৪ রান করে দলকে জিতিয়েছিলেন। রয় আজ ১৩২ রান করেছেন। বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ৭৬ রান। যারাই উইকেটে থিতু হয়েছেন ইনিংস লম্বা করেছেন। তাতে দলের কাজ সহজ হয়েছে বলে মনে করছেন তামিম।

‘আমি যে জিনিসটা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন তা হলো, তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যেতে পারেন। সেটা খেলার অংশ। কিন্তু আপনি যদি থিতু হয়ে যান ৩০-৪০ এর ঘরে পৌঁছান আপনাকে সেটা বড় করতে হবে। যে জিনিসটা শেষ দুই ম্যাচে ওরা করেছে। আজ একজন ১৩০ করেছে। কাল একজন অপরাজিত ১২০ এর মতো করেছে। আমার মনে হয় এই জিনিসটা আমাদের ল্যাকিংস আছে। আপনি দ্রুত আউট হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু সেট হয়ে গেলে সেটাকে বড় করতে হবে। তারা করতে পেরেছে। আমরা পারিনি।’



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!