সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি: মৎস্য ঘের এলাকা হিসেবে পরিচিত সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলা। এ উপজেলার মৎস্য ঘেরগুলোতে ভাইরাসের আক্রমনে প্রায়ই যখন ঘেরের মাছ মরা ও ঘের মালিকদের হাজার হাজার টাকার ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায় তখন শুকনা ঘেরে লাখ টাকার মাছ লুটের কল্প কাহিনী সাজিয়ে ও কথিত বিস্ফোরনের অভিযোগে রাতারাতি থানায় মামলা নিয়ে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ যেন ব্যাঙের সর্দি প্রমানের প্রচেষ্টা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রæয়ারী) গভীর রাতে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের নিজবাড়ী থেকে ফায়জুল কবীরকে আটক করে সকালে জেল হাজতে পাঠায় থানা পুলিশ। সাংবাদিক ফায়জুল কবীর যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমাজের কাগজ পত্রিকার আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি। এ ঘটনায় হতবাক হয়েছে আশাশুনির সাংবাদিক সমাজ সহ এলাকার সচেতন মহল।
ফায়জুলের পরিবার ও সংশ্লিষ্ট ভ‚মিহীনরা জানায়, আমরা বিগত কয়েক বছর আগে থেকে সরকার বাহাদুরের নিকট থেকে ডিসিআর নিয়ে উক্ত সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। ২০১৫সালে লাঙ্গনদাড়ীয়া মৌজার এস এ ৯৪ নং খতিয়ানের ৪৫৫ ও ৪৫৬ দাগের ৪.৫২একর জমি ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত হয়। সরকার বাহাদুরকে রাজস্ব দিয়ে স্থানীয় ভূমিহীন মেহেরুন নেছার নামে ৫০শতক, মনোয়ারা বেগমের ৫০শতক, হামিদা খাতুনের ৫০শতক, রাজিয়া খাতুনের ৫০শতক, আরজান আলীর ৫০শতকসহ ৯জন ভুমিহীন কয়েক বছর ধরে একসনা ডিসিআর নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে আছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রæয়ারী) বিসমিল্লাহ মৎস্য ঘেরের পক্ষে কালিগঞ্জের কালিকাপুর গ্রামের শামসের গাজীর ছেলে জিএম বাহার বাদী হয়ে পানি শুণ্য শুকনা ঘেরে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট, ঘেরের বাসা ভাংচুর, হত্যার উদ্দেশে মাথায় আঘাত ও বোমা ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ এনে নিয়মিত মামলা নং ০৫. তাং ০৩(০২)২০২০ একটি মামলা দায়ের করে। এ উক্ত মামলায় সাংবাদিক ফায়জুলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য অলিউল্লাহ সানার সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। এদিকে আশাশুনি থানা পুলিশ মামলা দায়েরের ৩ ঘন্টার ব্যবধানে সাংবাদিক ফায়জুল কবীরকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আশাশুনি প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দসহ উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানিয়েছেন।