সচ্চিদানন্দদে সদয়,আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার চক তুয়ারডাঙ্গা মৌজায় ৮৬.৩০ একর খাস সম্পত্তি জাল ও তঞ্চকী কাগজপত্র সৃষ্ট করে অবৈধ দখলকারীদের থেকে মুক্ত করতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর পক্ষে তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের মোঃ শহীদ উল্লাহ বাদী জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা বরাবর লিখিত আবেদনে জানাগেছে, চক তুয়ারডাঙ্গা মৌজায় এসএ ২নং খতিয়ানে ৬৪.৮০ একর ও এসএ ৩৮৫ নং খতিয়ানে ৪৩৫ দাগে ২১.৫০ একর সম্পত্তি জনসাধারণের ব্যবহার্য সম্পত্তি। গদাইপুর গ্রামের মৃত দাউদ আলি মোল্যার পুত্র সিরাজুল ইসলাম মোল্যা তার মাতা সুফিয়া খাতুন ও শ^াশুড়ি আছিয়া খাতুনের নাম ব্যবহার করে হেতাইলবুনিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন সরদারের পুত্র ইসমাইল হোসেনের সহযোগিতায় জাল, তঞ্চকী কাগজপত্র সৃষ্টি করে উক্ত জমি বিক্রয় করে আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। জানতে পেরে এলাকাবাসীর পক্ষে তিনি ২/১/২০১১ তাং অতিঃ জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দপ্তরে অভিযোগ করেন। তিনি (ডিসি-রেঃ) ১৫/১/১২ তাং ১৪৩ নং স্মারকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাশুনিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্ত ২১.৫০ একর জমি সিরাজুল ইসলাম জাল জালিয়াতি করে নাম পত্তন করেছেন মর্মে ২০/২/১২ তাং ২৩২ নং স্মারকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বক্রী ৬৪.৮৩ একর জমি সিরাজুল দিং এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে ১৪/২/১২ তাং পৃথক অভিযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাশুনিকে ১৫/২/১২ তাং বিষয়টি তদন্ত করার আদেশ দেওয়া হয়। উক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করা হলে সমস্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা পূর্বক ১৯/১২/১২ তাং ২৭২৫ (যুক্ত) নং স্মারকে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করা হয়। এরপরও সিরাজুল ইসলাম প্রভাবশালী মহলের প্ররোচনায় উক্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে দখলে যাচ্ছেন। এব্যাপাওে প্রতিকার প্রার্থনা ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা বরাবর পুনরায় (১০/৭/১৯) আবেদন করা হলে ২৩/৭/১৯তাং ১৪৩৪ নং স্মারকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনিকে সরেজমিন তদন্ত কওে মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আদেশ করা হয়েছে।
আশাশুনিতে ৮৬.৩০ একর খাস সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করতে আবেদন
পূর্ববর্তী পোস্ট