আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরায় রমজান বাহিনী কর্তৃক মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের হয়েছে। গুরুতর আহত সাবেক ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের ভাই মহাসিন সরদার বাদি হয়ে শনিবার আশাশুনি থানায় হামলাকারিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি এবং হামলাকারীরা হুমকি অব্যহত রেখেছে। প্রতক্ষ্যদর্শী ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাত্তার গাজী জানান, উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া গ্রামের লতিফ সরদারের পুত্র কবির হোসেন খালিয়া মৌজায় ৮বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন মৎস্য চাষ করেন। কাপসন্ডা গ্রামের সুন্দর আলি মোড়লের পুত্র চাঁদাবাজি, ঘের লুটপাটসহ ডজ্জনাধিক মামলার রমজান বাহিনীর প্রধান রমজান মোড়লের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্য খোকা, নুরুল্লাহসহ আরও ১০/১৫ জন গত ২০ আগষ্ট কবিরের ঘেরে হাজির হয়ে তার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ২৪ ঘন্টা সময় বেঁদে দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে কবির ও মিলন সাতক্ষীরা রওয়ানা হয়ে কাপসন্ডা গ্রামে আমারাত হোসেনের বাড়ির সামনে পৌঁছান মাত্র রমজানের নেতৃত্বে তার বাহিনীর লোকজন দা, ঢাল, সড়কি, হাত বোমাসহ দেশিয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবেধে তাদের পথরোধ করে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর তারা কোন রকমে পাশে সাত্তার গাজীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে সে বাড়িতেও ঢুকে কুপিয়ে ও মারপিট করে। সাত্তার গাজী বাঁধা দিলে তাকে, তার ভাই সামাদ, স্ত্রী রোকেয়া ও মেয়ে ডালিয়াকেও পিটিয়ে-কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। হামলাকারীরা সাত্তারদের দু’টি বসতঘর ও ঘরের মালামাল ভাংচুর করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে সাত্তারের পরিবার সূত্রে জানাগেছে। এ খবরে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত সামাদকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কবীর হোসেনের ভাই মহাসিন সরদার বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো ৮/১০ কে অজ্ঞাতনামা রেখে ২৩ (০৮)১৯ নং মামলা দায়ের হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অপরদিকে হামলাকারীরা মুঠোফোনে ও বিভিন্নভাবে প্রান নাশের হুমকি অব্যহত রেখেছে বলে আহতদের পরিবার জানান। এ ব্যাপারে অনতি বিলম্বে আসামীদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে ভূক্তভোগীদের পরিবার পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আশাশুনির খাজরায় রমজান বাহিনীর তান্ডব: মামলায় গ্রেপ্তার নেই, হুমকি অব্যাহত
পূর্ববর্তী পোস্ট