আকরামুল ইসলাম: সাতক্ষীরা আশাশুনির শরাবপুর অঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক ডাকাতি, নারী নির্যাতন, চুরি ও মাদক মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী মোসলেম সরদার ওরফে কাঁনা মোসলেম আবারও বেপরোওয়া হয়ে উঠেছে। সে সন্ত্রাসী বাহিনী একত্রিত করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় সন্ত্রাসী কাঁনা মোসলেমের নেতৃত্বে একাধিক ডাকাতি, মাদক, চুরি মামলার আসামী শরাবপুর এলাকার মৃত হামিদুল্লাহর ছেলে রুহুল আমিন নুহু, ময়জুদ্দিন নাটার ছেলে মোস্তাকিম, মৃত রজব আলীর ছেলে ইকবাল, নওশের আলীর ছেলে দুখে, আব্দুল মতিনের ছেলে কাদের, মৃত হাফিজের ছেলে শফিকুল, দেবহাটা টিকেট অঞ্চলের শহিদুলের ছেলে মিকাইল শরাবপুর এলাকার নদীর ধারের বিভিন্ন ঘেরের বাসা দখল করার চেষ্টা করে।
শরাবপুর এলাকার আজম সরদার, তাজমিনুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রহিমসহ এলাকাবাসীরা জানান, আমাদের এলাকার দীর্ঘ দিনের ত্রাস লাল্টু বাহিনীর পতনের পরে দীর্ঘ দিন ফেরার থাকা কাঁনা মোসলেম ও তার ভাই একাধিক মামলার আসামী রুহুল আমিন নুহু লাল্টু বাহিনীর স্থান দখল করে ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তারই ধারা বাহিকতায় তারা শান্তিপ্রিয় শরাবপুর বাসির যাদের নদীর ধার দিয়ে মাছের ঘের আছে তাদের কাছে চাঁদা চেয়ে নিত্যদিন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। কাঁনা মোসলেম ও তার লোকজন মৎস্য ঘের ব্যবসায়িদের হুমকি দিয়ে বলেছে আমাদের চাঁদা না দিলে এলাকায় কেউ ঘের করতে পারবে না। এঘটনার পরে রীতিমত মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। দেশের চলমান সঙ্কটের সময় তাদের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন, এখনই চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের থামাতে না পারলে তারা এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হবে এবং আশাশুনির এঅঞ্চলে আইনশৃংখ্যালার চরম অবনতি হবে বলেও জানান তারা। এদিকে, গত এক মাস আগে রথিন মাষ্টারের বাড়িতে ডাকাতি, চার মাস আগে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ডাকাতি, এলাকার কয়েকটি বাড়িতে চুরিসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার ঘটনায় কাঁনা মোসলেম বাহিনীর উত্থানের ইঙ্গিত বহন করে। এব্যাপারে এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
আশাশুনির সন্ত্রাসী কাঁনা মোসলেম এখন মূর্তিমান আতঙ্ক
পূর্ববর্তী পোস্ট