অনলাইন ডেস্ক :
যেভাবে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে তাতে বাজার থেকে কেনা কাঁচা তরিতরকারি বা অন্যান্য খাদ্যপণ্যের সঙ্গে ঘরে জীবাণু আসছে কী-না তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এমন অবস্থায় কি করা উচিত?
যদি দোকানে যেতেই হয় কম মানুষ বা একজন গেলে ভালো। দু’একটা বড় ব্যাগ সাথে নিয়ে যান। গ্লাভস,মাস্ক থাকা আবশ্যক।
গ্লাভস না থাকলে হ্যান্ড সেনিটাজার সাথে রাখতে হবে।যাতে বাজার গাড়ীতে তোলার আগে হাত জীবানুমুক্ত করে নিতে পারেন। বাজার গাড়ীতে রেখে আবার দু হাত সেনিটাইজ করে নিতে হবে।তানাহলে আপনার হাত থেকে ভাইরাস দরজার হ্যান্ডেলে, স্টিয়ারিং,গিয়ার সবকিছুতে লেগে যাবে। যদি ভুল করে আগেই হাত দিয়ে ফেলেন তাহলে সেই জায়গাগুলো সঙ্গে সঙ্গে সেনিটাইজ করে নিন।
গাড়িতে ওঠার আগে ক্রেডিট কার্ডের দুই পিঠ, ওয়ালেট, টাকার নোট,পাড়ীর চাবী ও রিং এরং সর্বত্র সেনিটাইজ করে নিন।
দেকানে ঢোকার সময় কার্টে বা ট্রলিতে হাত দেবার আগে গ্লাভস পরুন, খুলবেন একেবারে ঘরে ফিরে।বাইরে বা দোকানে সকলের কাছ থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দুরত্ব মেনে চলুন। জিনিস পত্র, ক্রেডিট কারড, টাকা, ওয়ালেট ধরুন গ্লাভস পরেই।মনে রাখতে সবজী,ফল,প্যাকেট,চালের ব্যাগ সব কিছুর গায়ে ভাইরাস লেগে আছে।
বাসায় এসে ব্যাগ এমন জায়গায় রেখে দিন যাতে আর কেউ না ছুঁতে পারে।কারন ওগুলোর গায়ে ভাইরাস লেগে থাকবেই। গায়ের পোষাক, গ্লাভস, মাস্ক এমন জায়গায় বা পলিথিনে ভরে রাখুন যাতে ৩ দিন না ধরতে হয়। হাত সাবান দিয়ে ২০ সে: ধুয়ে নিন।
যদি বাজার করা কোন জিনিস ডিপ ফ্রিজে রাখতে হয় অথবা খাবার জন্য নিতে হয় তাহলে সেটির বাইরেটা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।হাত আবার একই ভাবে আবার ধুয়ে নিন। বাসার যে কোন কিছু ধরার আগে গোসল করে নিন কারন মাথাতেও ভাইরাস লেগে থাকতে পারে।
এভাবেই আমাদের অজান্তে ভাইরাস ঘরে চলে আসে। আমরা নিজের এবং ঘরে অন্যদেরও সংক্রমণ ঘটানোর সুযোগ তৈরি করি।