উল্লেখ্য, গত ২৪ আগষ্ট ইয়ারব হোসেন প্রতিবেশীর বাড়িতে বসে টেলিভিশন দেখছিল। ঐ বাড়ীর ৬ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষন করে । ঐ সময় মেয়ের বাবা ও মেয়ের মা দুজনই পাশের রান্না ঘরে ছিল। হঠাৎ মেয়ের আত্মচিৎকারে বাবা মা ঘটনাস্থলে এসেই এক বিভৎস্ ঘটনা দেখতে পান। ঐ মুহুর্তে প্রতিবেশী ধর্ষক ইয়ারবের স্বীকারোক্তি করায়ে কোন কিছু না বলে মেয়েকে নিয়ে ছোটাছুটির একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী শার্শার বাগআঁচড়া বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর ডাক্তার শিশুটির অবস্থা খারাপ দেখে অন্যত্র ভাল ডাক্তারের নিকট নেয়ার পরামর্শ দেন। এরপর সাতক্ষীরায় আব্দুর রহমান ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে রুগি দেখে তিনি খুলনা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঐদিন ২৪ আগষ্ট রাত ২ টার দিকে তাকে খুলনা আদ্- দ্বীন হাসপাতালে দেখিয়ে মেডিকেল চেকআপের পর খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করেন। ২৯ আগস্ট মেয়ের বাবা বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় ধর্ষক ইয়ারবের নামে মামলা করেন।মামলা নং-৩২, ধারা- (নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০, সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(১)। ঘটনা ঘটিয়ে ইয়ারব পালিয়ে ঢাকায় অবস্থান নেয়। প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
কলারোয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক ইয়ারব ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার
কামরুল হাসান, কলারোয়াঃ কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর-উল-গীয়াসের নেতৃত্বে এসআই মোঃ ইস্রাফিল হোসেন সহ সংগীয় অফিসার ও ফোর্সের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে, শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি ইয়ারাব হোসেন (২৫) কে মামলা রুজু হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শনিবার রাত ২টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। শিশু ধর্ষক ইয়ারব কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের উত্তর বহুড়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের পুত্র।
পূর্ববর্তী পোস্ট