হাফিজুর রহমান: জমি জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্বামীহারা এক মুক্তিযোদ্ধা কন্যার বসত ঘরে সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে ভষ্মিভুত হয়ে নগদ ৭০ হাজার টাকা সহ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগ দিলেও থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাত আড়াইটার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটী গ্রামের উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা কন্যা সাবিনা ইয়াসমিন ঐ রাতেই ৮জন কে আসামী করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। বিষয়টি নিয়ে থানা উপ পরিদর্শক চিন্ময় সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আগে পর্যন্ত মামলা রেকর্ড না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগের সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলা বন্দকাটী গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর কন্যা সাবিনার সঙ্গে একই গ্রামের ফারুক হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়, তাদের ঘরে একটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তান আছে। স্বামী ফারুক মারা যাওয়ার পর হতে সাবিনার সঙ্গে তার চাচাতো ভাই আশেক মোড়লের সঙ্গে ৮শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত জমি আশেকের বাবা মৃত আক্কাজ আলী গত ২৮/৭/৬৬ সালে জাল দলিল করে নেয়। বিষয়টি নিয়ে গত মার্চ মাসে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি দলিলটি জাল বলে সনাক্ত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত রবিবার পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রাতে যখন সাবিনা তার সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিল তখন রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় মৃত আক্কাজ মোড়লের পুত্র আশেক (২৬), আশেকের নেতৃত্বে তার পুত্র ছট্টু মোড়ল (৩৯), রিপন (৩৭), বাবলু (৩৫), বাচ্চু (৩২), নীল কন্ঠপুর গ্রামের আকবারের পুত্র ফিরোজ লস্কার, বন্দকাটী গ্রামের মহিদুলের পুত্র কালাম(৩৭), নীলকন্ঠপুর গ্রামের আমজাদের পুত্র আল আমিন সহ ৭/৮ জন ঘুমন্ত অবস্থায় করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঐ সময় নগদ টাকা সহ সেলাই মেশিন, টিভি, গ্যাস, গ্যাসের চুলা, আসবাব পত্র সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় আশপাশের লোকের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ সদর হতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার আগেই প্রায় সব মালামাল পুড়ে ভষ্মিভুত হয়ে যায়। এ ব্যাপারে উপ পরিদর্শক চিন্ময় সরকারের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে অবশ্যই মামলা রেকর্ড হবে।