কালিগঞ্জ ব্যুরো: চেক সংক্রান্ত মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বর পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটেছে। ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তথ্য গোপন করে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন রঘুনাথপুর গ্রামের মেম্বর প্রার্থী নজরুল ইসলাম। সূত্রমতে একটি চেক প্রতারনা সংক্রান্ত মামলায় ঢাকার ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালত নজরুল ইসলামকে ৩০ লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করে। সেই সাথে তাকে গ্রেপ্তার এবং তার সম্পত্তি ক্রোপের আদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। তিনি চলমান নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের হলফ নামায় এ তথ্য গোপন রেখে মিথ্যা হলফনামা প্রদান করে বর্তমান ১নং কৃষ্ণনগর ০৯নং ওয়ার্ডের উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট রিটানিং কর্মকর্তার চোখ ফাকি দিয়ে মেম্বর প্রার্থী হন। এ ব্যাপারে স্থানীয় আইনজীবি এড. ফেরদাউস হোসেন সাংবাদিকদের জানান স্থানীয় সরকার আইন-২০০৯ এর ২৬ ধারা ২ উপধারা অনুযায়ী নির্বাচনী প্রার্থী নৈতিক শৃঙ্খলা জনিত কারনে এবং পলাতক বা ফেরারী ঘোষিত হন তবে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। ঐ ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এবং তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে। এমনকি নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য মামলা করতে পারবেন। এব্যাপারে ভুক্তভোগী বাদী জালাল উদ্দীন প্রধান নির্বাচন কমিশন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। এব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অনুজের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান আজ একটি চিঠি পেয়েছি। ব্যবস্ততার কারনে দেখা হয়নি, দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সহকারী রিটানিং ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ ব্যাপারে মেম্বর প্রার্থী নজরুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয় নি।