হাফিজুর রহমান/হাবিবুল্লাহ বাহারঃ- কালিগঞ্জ ফুলতলা সাহেবের মোড় হতে বাঁশতলা সড়কের দক্ষিণ শ্রীপুর খেজুরতলা মাছের সেটের সামনে রাস্তা নির্মাণের জন্য সেন্ট কম্প্রেসার পাইপ বসানোর সময় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মিজানুর রহমান (৩০) নামে একজন নির্মাণ শ্রমিক নিহত এবং সাইফুল্লাহ মোল্লা (২০) নামে অপর একজন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ( ০৫-সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বিকাল ৫টার সময় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের খেজুরতলা মৎস্য সেটের সামনে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ কাজের সময় উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কোন কর্মকর্তা ও নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর কোন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানান। নিহত নির্মাণ শ্রমিক মিজানুর রহমান খুলনা জেলার কয়রা থানার চৌকুনী গ্রামের আব্দুল গাজীর পুত্র। অপর আহত শ্রমিক সাইফুল্লাহ মোল্লা একই গ্রামের নুর ইসলাম মোল্লার পুত্র। কালিগঞ্জ কুলিয়া দুর্গাপুর গড়ের হাটখোলা কালবাট হতে খেজুর তলা মৎস্য সেট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা ১০ কোটি টাকায় নির্মাণের জন্য খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফয়সাল ট্রেডার্স যার স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান এর লোকজন নির্মাণ কাজ করে আসছিল। মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে সেন্ড কম্প্রেসার পাইপ বসানোর সময় লম্বা পাইপ ১১ কেভিএ ভোল্টের বিদ্যুৎতের মূল তার সঙ্গে স্পর্শে শ্রমিক মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে মারা যায়। তাকে বাঁচানোর জন্য সাইফুল্লাহ এগিয়ে গেলে সেও গুরুতর আহত হয়। ওই সময় উপস্থিত অন্যান্য শ্রমিকরা দুজনকে উদ্ধার করে দ্রুত কালিগঞ্জ হাসপাতলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শাহিনুর রহমান শ্রমিক মিজানকে মৃত ঘোষণা করে অপর শ্রমিক সাইফুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে আশঙ্কামুক্ত করে। খবর পেয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মিজানুর রহমান হাসপাতালে যেয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু লাশের গায়ে কোন আঘাত না থাকায় সন্দেহজনক হওযায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই সময় হাসপাতালে উপস্থিত কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের প্রকৌশলী জাকির হোসেন এর নিকট জিজ্ঞাসা করলে, ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ কাজের সময় উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কোন কর্মকর্তা সেখানে ছিল কিনা তার কোনো সদুত্তর মেলেনি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফয়সাল ট্রেডার্সের মালিক আলহাজ্ব হাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি রাজশাহীতে মেয়ে ভর্তির জন্য আছি। ওখানে আমার সাব-ঠিকাদার খুলনার আনিস আছে কাজে কোনো ত্রুটি নাই ওখানে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর আছে। কিছু ঘটলে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস দায়ী থাকবে তাদের উপস্থিতি ছাড়া কোন কাজ হয়না। তবে প্রকৃত ঘটনার সময় পিরোজপুর জেলার সাব-ঠিকাদার জাকির হোসেন তার শ্রমিক নিয়ে কাজ করছিল বলে সাংবাদিকদের জানান।