আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আরার গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজউদ্দীন মালী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি——-রাজিউন)। আরার গ্রামের মৃত নাছের আলী মালীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজউদ্দীন মালী (৭৩) দীর্ঘদিন যাবত স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ২.৪৫ টায় নিজস্ব বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আরার জামে মসজিদের সামনে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন, আরার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ আমানউল্লাহ। বক্তব্য রাখেন, জোড়দিয়া শেখপাড়া বাইতুল আতিক জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ফরিদ আহমদ আরারী, কচুয়া আহলে হাদীস জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আহসানউল্লাহ, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবি জিয়াউর রহমান ও মরহুমের বড় ছেলে আরাফাত হোসেন পিন্টু। এসময় বহু হাজী, আলেম ও হাফেজ, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুসল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজউদ্দীন মালী তৎকালীন আরার গোবিন্দপুর রেজিঃ বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। কাজেই আরার ও গোবিন্দপুর গ্রামের সন্তান তথা তার হাতে গড়া শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে তার মুখ উজ্জল করে আসছেন। তিনি সুস্থ থাকা কালে দীর্ঘদিন যাবত আরার জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন এর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন এলাকার অন্যতম একজন সমাজসেবক ও সদালাপী মানুষ। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।