লিটন ঘোষ বাপি, দেবহাটা থেকে: আগামী কাল থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তারই আগমনী সুর যেন এখনই ভাসছে সোনা রোদের ঝিলিকে ও নীল আকাশে। প্রকৃতির মতোই পূজা মন্ডবে শুরু হয়ে গিয়েছে মায়ের আগমনীর আবাহন। আর এই দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা সাজানোর শেষ মূহুর্তের ব্যস্ততা।
প্রতিমা শিল্পীর রং-তুলির আঁচড়ে যেন প্রাণ সঞ্চারিত হচ্ছে দেবী দুর্গার। শেষ মূহুর্তে এসে প্রতিমা কারিগরদের যেন দম ফেলার সময় নেই। এবছর সাতক্ষীরা জেলায় ৫৯৩ টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের তদারকির পাশাপাশি প্রতি মণ্ডপে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাা থাকবে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে পুরোদমে প্রতিমা রং তুলির কাজ চলছে। দিনরাতের বেশি সময় প্রতিমা শিল্পীরা কাজ করছেন।
খড় আর কাঁচামাটি ও রংয়ের কাজ শেষে এখন নানা সাজ-সজ্জায় দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্ত্তিক ও গণেশসহ সংশ্লিষ্ট সকল দেবতাদের বর্ণিল করে তোলার কাজ চলছে। প্রতিমা শিল্পীর রং-তুলির আঁচড়ে নানা বর্ণে সাজছেন দেবী দুর্গা।
সাতক্ষীরা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু সুভাষ চন্দ্র ঘোষ বলেন, মা দুর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ আর জগতের শান্তি প্রতিষ্ঠিতা হবে এই বিশ্বাস নিয়ে এই বছর সাতক্ষীরা সদরে ১০৭ টি, কলারোয়ায় ৪০টি, তালায় ১৯৬ টি, আশাশুনিতে ১০৮ টি, দেবহাটায় ২১টি, কালিগঞ্জে ৫২টি, শ্যামনগরে ৬৯ টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
দুর্গাপূজার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা হিন্দুদের কিন্তু মূলবাণী সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে নিবেদিত। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনা। অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে সর্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা। সব মানুষের সুখ-শান্তি কামনায় এবং সর্বজীবের মঙ্গলার্থে হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে নানা উপচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে প্রতিবছর উদযাপন করে থাকে শারদীয় দুর্গোৎসব।
চলছে শেষ পর্যায়ের সাজসজ্জা, মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আগামীকাল শুরু দুর্গাপূজা
পূর্ববর্তী পোস্ট