আশাশুনি প্রতিবেদক: চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্য চন্দ্র বিদ্যাপিঠে সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হাকিম অবশেষে স্বপদে বহাল হয়েছেন। আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার সিমান্তবর্তী চাম্পাফুল-কালিবাড়ীতে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র-ছাত্রীদের ঐতিহ্যবাহী প্রাণ চাঞ্চল্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আ.প্র.চ মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ। বিদ্যালয়ের নিয়মিত কমিটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক নিয়োগ বোর্ড গঠন পূর্বক ২০১৫ সালে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেন। সে সময় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত আব্দুল হাকিমকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক কমিটি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের আইন উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে তাকে এমপিও ভুক্ত করা হয়। তাকেসহ সকল শিক্ষকদের একসীটে ব্যাংকে টাকা জমা হয়। কিন্তু একটি মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যুগ্ম জজ ২য় আদালত সাতক্ষীরায় দু’জন অভিভাবক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ ১৮ জনকে বিবাদী করে দেং ১২/১৫ নং মামলা করেন। কিন্তু ওই মামলায় প্রধান শিক্ষক বিবাদী শ্রেণিভুক্ত ছিলেন না। আদালতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে দরখাস্ত মঞ্জুর হয়। আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপীল ২৪/১৫ নং মামলা করলে মামলাটি অতিঃ জেলা জজ ২য় আদালতে বদলী হলে আদালত নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। আদেশের বিরুদ্ধে আপীলকারী/বিবাদীগণ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন ৪৭১/২০১৭ নং মামলা দায়ের করলে আদালত নিম্ন আদালতের আদেশ স্থগিত করে উভয় পক্ষের শুনানী অন্তে ৬ নভেম্বর’১৮ তারিখ নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। আদেশের বিরুদ্ধে মাহামান্য সুপ্রীম কোর্টের ফুলবেঞ্চে সিভিল মিস লিনিয়াস পিটিশন ১০৪৫/২০১৮ নং মামলা হলে মহামান্য বিচারপতি ১৫ নভেম্বর’১৮ তারিখ নিম্ন আদালত অর্থাৎ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের দেং ১২/১৫ মামলা মূল মামলা দ্রুত আইনানুগ ভাবে নিষ্পত্তির আদেশ প্রদান করেন। সবশেষে দেওয়ানী কার্য বিধি ২৩ ধারা মতে বাদী এবং বিবাদী বিগত ২৪ আগষ্ট’২০ তারিখ মামলাটিতে মিমাংসার শর্তে মামলা প্রত্যাহার ও দাবী বর্জনের নিমিত্তে সোলেনামা দাখিলের জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করলে আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। মূল মামলা নিস্পত্তির পর যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম স্কুলের বেশ কিছু অভিভাবক সাথে নিয়ে স্কুলে হাজির হওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেন। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জিপি এড. শম্ভুনাথ সিংহের কাছ থেকে ১৯ নভেম্বর’২০ তারিখে মতামত গ্রহন করেই অভিভাবকদের সাথে নিয়ে স্কুলে হাজির হয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে উঠিয়েই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম বলেন, স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ, সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়ন ও অবকাঠামোগত পরিবেশসহ সকল ক্ষেত্রে শিক্ষার অনুকুল পডিরবেশ ফিরিয়ে আনতে তিনি নিরালস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দ্বিধাদন্দ্ব ভূলে স্কুলের উন্নয়নে ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সকল মহলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
চাম্পাফুল আ.প্র.চ বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম স্বপদে বহাল
পূর্ববর্তী পোস্ট