প্রধান প্রতিবেদক : ভারতীয় গরু আমদানী বন্ধ থাকায় খুশি খামারী ও ব্যবসায়ীরা। আসছে কুরবানী ঈদকে ঘিরে সীমান্ত এলাকা দিয়ে যেন কোনভাবেই ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবির পক্ষ থেকেও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ থাকায় খামারীরা গরু মোটা তাজাকরণ ট্যাবলেট থেকেও এবার বিরত রয়েছে।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জেলায় খামারী রয়েছে ১২ হাজার ৭৩৩ জন। এসব খামারীদের কাছে এ বছর কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৫৬ হাজার ২৭৬টি বিভিন্ন প্রজাতির পশু।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৮১৩০টি গরু, ছাগল রয়েছে ৩৩৪৮টি, কলারোয়া উপজেলায় ৫২৮৫টি গরু, ছাগল ৫৩২২টি, তালা উপজেলায় ৭১৬৩টি গরু, ছাগল ৪১৮৬টি, আশাশুনি উপজেলায় ২৯৯৩টি গরু, ছাগল রয়েছে ২০৫২টি, দেবহাটা উপজেলায় গরু ১১৫৫টি, ছাগল ১১৮৬টি ছাগল, কলিগঞ্জ উপজেলায় ২৮১১টি গরু, ছাগল ৩৮২৬টি ছাগল ও শ্যামনগর উপজেলায় ৩০৩৬টি গরু ও ছাগল রয়েছে ৫৭৪৩টি। জেলাজুড়ে কুরবানীযোগ্য গরু প্রস্তুত রয়েছে ৩০ হাজার ৫৭৩টি ও ছাগল ২৫ হাজার ৭০৩টি।
এছাড়া রয়েছে অনেক মৌসুমি গরু ও ছাগল পালনকারি। তারা কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরু বা ছাগল পালন করে থাকেন। ঈদের মুখোমুখি সময়ে তারা বিক্রি করে দেন। এমনই এক গরু পালনকারী সাতক্ষীরার তালা সদরের শিবপুর গ্রামের রুবেল মোল্লা। তিনি বলেন, আমার গরুটি এখনো বিক্রি হয়নি, দাম কম বলায়। আশাকরছি দুই লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি হবে। এ বছর মোটাতাজাকরণ কোন ওষধ খাওয়ানো হয়নি গরুকে। ওষধের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করলে ক্রেতারাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে দামও কম হয়।
অন্যদিকে, ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ থাকায় আশার আলো দেখছেন গরু ব্যবসায়ীরা। পাটকেলঘাটা শাকদাহ এলাকার গরু ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ থাকায় খামারী ও ব্যবসায়ীরা বেশী দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন। কুরবানী ঈদের শেষ মূহূর্তে জেলার গরু ও ছাগলের হাট গুলো জমে উঠেছে।
ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের বিষয়ে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার বলেন, সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকজুড়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। অবৈধভাবে যেন একটি গরুও দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে চেক পয়েন্ট বসিয়ে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে।
আগত কুরবানী ঈদকে ঘিরে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় ৫৬ হাজারেরও অধিক কুরবানীযোগ্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। ঈদের শেষ মুহূর্তের হাটগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। অসুস্থ ও পশুকে ওষধ ব্যবহার করা হয়েছে মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে এমন সন্দেহ হলে পশু হাটে থাকা মেডিকেল টিমকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক পশু হাটগুলোতে মেডিকেল টিম কাজ করছে।