বিশেষ প্রতিবেদক,তালা: তালা সদর ইউনিয়নে প্রথম ধাপের স্থগিত নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও সরদার জাকিরের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভোটারদের মারপিট করে লাঙ্গল প্রতিকের এজেন্টদের কেন্দ্র না আসতে দেওয়ায় প্রহসনের এই নির্বাচনকে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জাপা মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম।
প্রকাশ,গত ২০ শে সেপ্টম্বার অনুষ্টিত নির্বাচনে তালা সদর ইউনিয়ন ছিলো সন্ত্রাসীদের দখলে । দুটি কেন্দ্র লাঙ্গল প্রতিকের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এবং এজেন্ট মাসুম ভোট কেন্দ্র দায়িত্ব পালন কালে সরদার জাকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য শিমুল সানা হাতুড়ি পিটা করে কেন্দ্র থেকে বাহির করে দেই। নজির বিহীন সন্ত্রাসীরা এমন তান্ডব চালিয়ে লাঙ্গল প্রতিকের সর্মাথকদের কেন্দ্র প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
জীবনের ঝুকি নিয়ে আটারই রাসেল গাজী ভোট দিয়ে রাস্তায় বাহির হলে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাতœক ভাবে আহত করা হয়। প্রহসনের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রচারণার সময় তালার খানপুর দাশ পাড়ায় প্রতিমা ভাংচুর ও জাতীয় পার্টির নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে সরদার জাকির ও সরদার মশিয়ারের সন্ত্রাসী বাহিনী। নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে আনন্দ উল্লাসের নামে সরদার জাকির,সরদার মশিয়ার,সরদার কবির,সরদার ফারুকের নেতৃত্বে জাপার কর্মী আবুল হোসেন কে শাহাপুর বাজারে হাতুড়ি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এবং সন্ত্রাসীরা মৃত মনে করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এবং খানপুর এলাকায় মহিলাকে মারপিটসহ বাড়ি ভাংচুর করে। তাদের ভয়ে জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীবৃন্দ ও সর্মাথকরা এখনো বাড়ির বাহির হতে ভয় ও সংশয়তার মধ্য দিনযাপন করছে। এদিকে মারপিটে বিষয়ে আবুল হোসেনের স্ত্রী থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
তালা সদর জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম বলেন,আমি তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও এবার লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেছি। নির্বাচনে ৬ টি কেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছে বাকি তিনটি কেন্দ্র সন্ত্রাসীদের দখলে থাকার কারনে সাধারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারিনি। সরদার জাকির ও সরদার মশিয়ারে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিটি মোড়ে মোড়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়ে ভোটার দের তাড়িয়ে দেন। ভোট চুরি করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তারা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফরোণ ও ইউনিয়ন জুড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বাড়ি ভাংচুর ও আমার কর্মী সর্মাথকদের মারপিট করছে। সর্বশেষ আমার কর্মী আবুল হোসেন কে বেধড়ক মারপিট করা কারনে এখন সে মৃত্যুর সাথে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাজ্ঞা লড়ছে। আমি এই প্রহসনের নিবাচন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে সরদার জাকিরের ব্যবহৃত ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।