নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ৩নং কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যবৃন্দ কর্তৃক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করায় ফুঁসে উঠেছে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। মেম্বরদেরও নানা অনিয়ম-দূর্নীতির তথ্য ফাঁস করতে শুরু করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভূক্তভোগী লোকজন। এলাকাবাসীর অভিমত, অল্প কিছুদিন হলো ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদের দায়িত্ব পেয়েছেন। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি কোন অনিয়ম-দূর্নীতি করেছেন কি না সাধারণ মানুষ তা ওয়াকিফহাল নয়। তবে তাদের দাবী, বছরের পর বছর ধরে কার্ড বিক্রি, কাবিখা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, ঘর বরাদ্ধের নামে এলাকার অসহায় গরীব মানুষদের কাছ থেকে টাকা আদায়, ত্রানের চাউল আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত মেম্বররা সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানকে তাদের মত-পথে আনতে না পেরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ করে থাকতে পারেন। পাশাপাশি অনেকেই আবার কোন কোন মেম্বরের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তবে অপরাধী যেই হোক ইউনিয়ন থেকে অনিয়ম-দূর্নীতির অবসান হোক এই প্রত্যাশা সকলের।
মেম্বররা অভিযোগ করে বলছেন, তারা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে তাদের চাহিদা মতো কোন সহায়তা পাচ্ছেন না। করোনা ভাইরসের কারনে বরাদ্ধকৃত ত্রাণ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তাই এর সুষ্ঠ বিচার চেয়েছেন তারা।
আর আনীত অভিযোগসমূহ সম্পূর্ন, কাল্পনিক, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে অভিযোগ সমুহের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইপি চেয়ারম্যান। অভিযোগকারীদের বাঁকা পথের ইনকামের রাস্তায় পা না দেয়া তথা তাদের অবৈধ আয়ের রাস্তা বন্দ হওয়ায় তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন দাবী করে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তিনিও অভিযোগ সমুহের সুষ্ঠ তদন্তের আহবান জানিয়েছেন উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্টদের প্রতি। অভিযুক্ত হলে নিজের বিচার হোক উল্লেখ করার পাশাপাশি অভিযোগ প্রমাণিত না হলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী জানিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত এই চেয়ারম্যান।
এ সকল বিষয়ের অনুসন্ধানে দৈনিক সাতনদীর পক্ষ থেকে সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্বে তুলে ধরা হলো ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও সে বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের অভিমত ।
জানা গেছে, গত ১ জুন’ ২০ তারিখে কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বর পারভীন সুলতানা সহ ৩ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল মাজেদ গাজী সহ ৯ জন সর্বমোট ১২ জন ইউপি সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছত আল হারুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৮টি অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমুহ হলো:
১. মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত ত্রাণ ও অর্থ সামগ্রী ইউপি চেয়ারম্যান তার নিজের লোকদের মাঝে বিতরণ করেছেন।
২. ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ ভরাটের নামে ৭ মে: টন চাউল আত্মসাৎ করেছেন।
৩. মহাজনপুর বিলগামী রাস্তা প্রকল্পের নামে ৭ মে: টন চাউল আত্মসাৎ করেছেন।
৪. জন্ম নিবন্ধন থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো আত্মসাৎ করেছেন।
৫. ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৩৫ হাজার টাকার মতো আত্মসাৎ করেছেন।
৬. অডিট খরচ বাবদ মেম্বরদের নিকট থেকে ২৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
৭. সুপেয় পানি সরবরাহের ১৭টি ট্যাঙ্কির অনুকূলে প্রতিটি ৮ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার মতো আত্মসাৎ করেছেন।
৮. ত্রান আনার পরিবহন খরচ বাবদ মেম্বরদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগ সমুহের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা: অভিযোগ সমুহের ব্যাখ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন চৌধুরী বলেন,
(১) করোনা ভাইরসের কারনে ত্রাণ হিসেবে যে বরাদ্ধ পাওয়া গেছে তা ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমেই হতদরিদ্রদের মাঝে বিরতরণ করা হয়েছে। যার মাস্টার রোল সংরক্ষিত আছে। তাছাড়া উপকারভোগীরা কেউ আমার পরিবারের সদস্য বা নিজের লোক নয়। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে গোটা ইউনিয়নবাসীই আমার লোক।
ট্যাগ অফিসারের বক্তব্য:
এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসার উপজেলা যুব উন্ন্য়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব পালন করাকালীন হঠাৎ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় বর্তমানে দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। তবে যতোদিন দায়িত্ব পালন করেছি চেয়ারম্যান মেম্বরদের করা তালিকানুযায়ী সুষ্ঠভাবে ত্রানসামগ্রী বন্টন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান- মেম্বররা এ ব্যাপারে সহযোগীতা করেছেন। আমি দায়িত্ব পালনকরাকালীন সময়ে ত্রাণ বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি।
(২) মাঠ ভরাটের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, মাঠ ভরাটের জন্য যে ৭ মে: টন চাউল বরাদ্ধ হয়েছে আজ পর্যন্ত তার অর্ধেক অর্থাৎ সাড়ে তিন মে: টন চাউল দু’টি ডিও এর মাধ্যমে নিয়মানুযায়ী উত্তোলন করে মাঠের কাজ করা হয়েছে, ফুলবাগান করা হয়েছে। বাকী সাড়ে ৩ মে: টন চাউল এখনো উত্তোলনই করা হয়নি। যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিলে যে কেউ তার সত্যতা পাবেন। কাজেই যে চাউল উত্তোলনই করা যায়নি তার সম্পূর্নটা আমি কিভাবে আত্মসাৎ করলাম তা আমার বোধগম্য নয়।
সরেজমিন তথ্য: এ ব্যাপারে বিল ভাউচার দেখা সহ বিস্তারিত জানা সম্ভব না হলেও সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পুকুর থেকে মাটি তুলে মাঠ ভরাট ও ফুল বাগান দৃশ্যমান পাওয়া যায়।
(৩) চেয়ারম্যান বলেন, মহাজনপুর বিলগামী রাস্তা প্রকল্পের (কাবিখা, ২য় পর্যায়) জন্য যে ৭ মে: টন চাউলের প্রকল্প দেয়া হয়েছে আজও পর্যন্ত তার কোন বরাদ্ধ হাতে পাওয়া যায়নি। আমি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে ১৪শ’ ফুট রাস্তায় মাটির কাজ করিয়েছি। যেটার বরাদ্ধ এখনো ছাড় হয়নি তা আত্মসাতের বিষয়টি হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়।
সরেজমিন তথ্য: এ ব্যাপারে মহাজানপুর বিলগামী উক্ত রাস্তায় যেয়ে সেখানে মাটি ফেলে রাস্তা উঁচু করার বিষয়টি দেখতে পাওয়া যায়।
প্রকল্প কিমিটির সেক্রেটারী ইউপি সদস্যের বক্তব্য: এ ব্যাপরে রাস্তাটির প্রকল্প কমিটির সেক্রেটারী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি এখনো পর্যন্ত প্রকল্পের অর্থ বরাদ্ধ বা ছাড় না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এ সময় রাস্তার কাজের জন্য চেয়ারম্যান নিজ পকেট থেকে তার কাছে টাকা দিয়েছেন এমন তথ্য উপস্থাপন করা হলে তিনি তাও অস্বীকার করেননি। তবে যে প্রকল্পের অর্থই ছাড় হয়নি সে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পত্রে তিনি কিভাবে স্বাক্ষর করলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এ ব্যাপারে ১নং ওয়ার্ডের মেম্বর মাজেদ গাজী ভাল জানেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
(৪) জন্ম নিবন্ধনের টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তার দেয়া তথ্যমতে দায়িত্ব গ্রহনের থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত যতোজনের নিবন্ধনভূক্ত করা হয়েছে। উক্ত খাতের প্রাপ্ত সরকারি ফিসের ৯ হাজার ৪শ’ ৭৫ টাকা সরকারী কোডে জমা দেয়া হয়েছে।
তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তার বক্তব্য: এ ব্যাপারে তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২৩৫ জনের জন্মনিবন্ধন এন্ট্রি করা হয়েছে এ খাতের প্রাপ্ত সরকারি ফিস ৯ হাজার ৪শ’ ৭৫ টাকা সরকারী কোডে জমা দেয়া হয়েছে। কিছু টাকা পরিষদের কাজে ব্যয় করা হয়েছে।
(৫) ট্রেড লাইসেন্সের টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এ খাতের টাকা ব্যংকে জমা করা হয় এবং ইউনিয়ন পরিষদের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এখাত থেকে কোন টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি। তিনি বলেন, বিগত ১৯ নভেম্বর’ ২০১৯ হতে উক্ত খাতের ৫৪ হাজার ২শ’ টাকা কৃষি ব্যাংকের চলতি হিসাবে জমা দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কাজের ব্যস্ততার কারনে কিছু টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে উক্ত টাকা থেকে পরিষদের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যায় করা হয়েছে, যার হিসাব সংরক্ষিত আছে।
ইউপি সচীবের বক্তব্য: এ ব্যাপারে ইউপি সচীব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ট্রেড লাইসেন্স খাতের সমুদয় টাকা পরিষদের লেজারভূক্ত আছে। এ খাতের কোন টাকা তসরুপ হয়নি।
(৬) অডিট খরচ বাবদ মেম্বরদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার দায়িত্বকালীন সময়ে অডিটের জন্য ইউপি সদস্যদের নিকট থেকে কোন টাকা গ্রহন করা হয়নি।
(৭) সুপেয় পানি সরবরাহের ট্যাঙ্কির টাকা আত্মসাতের অভিযোগের ব্যাপারে চেয়ারম্যান বলেন, ১৭টি পানির ট্যাঙ্কির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে তালিকা দেয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সেখান থেকে কোন ট্যাঙ্কি পাওয়া যায়নি এবং জনগণকেও কোন ট্যাঙ্ক প্রদান করা হয়নি। ট্যাঙ্ক বাবদ কারো কাছ থেকে কোন টাকা গ্রহণ করা হয়নি।
তালিকাভূক্ত ব্যক্তির বক্তব্য: পানির ট্যাঙ্কি পাওয়ার তালিকাভূক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আগরদাড়ি গ্রামের আব্দুল খারেকের পুত্র আব্দুল মোমিন বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব এ ব্যাপারে আমার কাছ থেকে বা আমার জানা মতে অন্য কারো কাছ থেকেও কোন টাকা গ্রহন করেনি। তালিকাভূক্ত মহিষাডাঙাগা গ্রামের সন্দ্বিপ মন্ডলও একই কথা বলেন।
(৮) সর্বশেষ ত্রান আনার পরিবহন খরচ বাবদ মেম্বরদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারীর কারনে প্রাপ্ত ত্রান বহন খরচ বাবদ সামান্য কিছু টাকা সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে যা ইউপি সদস্যগণ দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ রেফাজুল ইসলামের নিকট দিয়েছেন। গ্রাম পুলিশ উক্ত টাকা ট্রলি ভাড়া ও গোডাউনের লেবার খরচ বাবদ ব্যয় করেছেন।
গ্রাম পুলিশের বক্তব্য:
এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ রেফাজুল ইসলাম দৈনিক সাতনদীকে জানান, যখন পরিষদের কোন মালামাল আসে তখন তার পরিবহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ যা হয় তা ১৩ ভাগ করে চেয়ারম্যান সহ ও ১২জন মেম্বরের কাছ থেকে সমানুপাতে গ্রহণ কওে আমি পরিবহণ মালিককে পরিশোধ করি। এখানে চেয়ারম্যান কোন টাকা গ্রহন করেননি/ করেন না।
আনীত অভিযোগের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান তার স্বপক্ষে উপরোক্ত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে মেম্বররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উক্ত অভিযোগের তথ্যানুসন্ধান করতে গেলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেও নানারকম অভিযোগ উত্থাপন করছেন ঐ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওযার্ডের ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ। যার অডিও ভিডিও সংরক্ষিত আছে দৈনিক সাতনদীর কাছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হতে পারে কুল্যা ইউনিয়নে চরম অরাজকতা বিরাজ করছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ভরপুর গোটা ইউনিয়ন।
তাই দৈনিক সাতনদীর তথ্যানুসন্ধানে উঠে আসা উক্ত ইউনিয়নের দূর্নীতি-স্বজনপ্রীতির প্রকৃত চালচিত্র দেখার জন্য আগামী পর্বে আমাদের সাথে থাকুন আর চোখ রাখুন দৈনিক সাতনদীর পত্রিকার পাতায় ও অনলইন মিডিয়ায়।