নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশ জুড়ে জেলা প্রশাসকদের হাতে দশদিন আগে পিপিই পোঁছালেও স্বাস্থ্য বিভাগে তা রিসিভ হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে সরকারের এক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী তোলপার শুরু হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, করোনা ভাইরাসকে বিশ্বব্যাপী মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিনের পর ইউরোপ জুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া চিন প্রতিষেধক আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে পৌছেছে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা ইতো মধ্যে কিট আবিষ্কার করেছে। এপ্রিলের মধ্যভাগে তা বাজারে আসতে পারে। এখন করোনা ভাইরাসের তান্ডব চলছে ইতালী, স্পেন, ইরাননহ ইউরোপ জুড়ে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যুদ্ধে নেমেছে। ভারত দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশও সেনাবাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি কন্ট্রোল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা শুরু করেছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিংমল সবই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নিজ প্রয়োজনীয় পন্য ছাড়া অন্যসব দোকানপাট বন্ধ করা হয়েছে। একাধিক ব্যক্তির এক সঙ্গে চলাফেরাতে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ জন, মৃত্যুবরণ করেছে ৬জন। মৃত ব্যাক্তিদের দাফনে অংশ নিতে পারেনি তাদের স্বজনরা। বরং মৃত ব্যাক্তিদের স্বজনদের কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদেরও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। প্রশাসনও এ বিষয়টা নজরদারী করছে। এদিকে ২৬জন করোা ভাইরাস আক্রান্তদের সেবা দিতে পারছেনা ডাক্তার, নার্স ও সঙশ্লিষ্টরা। কারণ তাদের নেই পিপিই।
এদিকে কক্সবাজারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দু’জন রুগীকে সেবা দিতে গিয়ে ডাঃ ইউনুসকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পিপিই না থাকায় তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রুগীকে সেবা দিয়েছেন। অপরদিকে রাজশাহী সহ একাধিক জেলায় পিপিই ছাড়াই চিকিৎসকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের সেবা দেয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপণ করেছেন। এরফল স্বরূপ ডাক্তার ও নার্সরা কোয়ারেন্টাইনে গেছেন।
এদিকে দেশের ৬৪টি জেলায় ৩০০ থেকে ৫০০ পিপিই গত ১০ দিন পূর্বেই জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রেরণ করেছে সরকার। এসব পিপিই জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগে প্রদান করেনি। এত বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন মন্ত্রি পরিষদ সচিব। ফলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তাফা কামাল সাতনদীকে জানান, তার কাছে কোন পিপিই আসেনি। পিপিই এসেছে সিভিল সার্জনের কাছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, পুলিশের প্রয়োজনে কিছু পিপিই প্রস্তুত করা হয়েছে। পিপিই প্রয়োজন স্বাস্থ্য বিভাগের।