আমজাদ হোসেন মিঠু,শ্যামনগর: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী বাজারে সরকারি জায়গায় দখল করে দ্বি-তলা বিলাস বহুল অবৈধ স্থাপনা তৈরী করে শামিমা ক্লিনিক ও নওয়াবেঁকী প্যাথলজি সেন্টার করে অবৈধভাবে ব্যাবসা চালিয়ে আসছে মনিরুজ্জামান মনি, যা দেখার কেউ নেই। এ বিষয় তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্যামনগরের সুধীমহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নওয়াবেঁকী বাজারের পাশে নদীর চরে সরকারি জায়গার উপর বিলাসবহুল দ্বি-তল ভবনে শামিমা ক্লিনিক করে ১০ শয্যার পরিবর্তে ৪০/৫০ শয্যা বিশিষ্ট করে ব্যবসা করে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, মনিরুজ্জামান ক্লিনিক ছাড়াও নওয়াবেঁকী প্যাথলজি সেন্টার করে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে। এখানে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ঐ প্যাথলজিটি লাইসেন্স জনৈক মিজানুর রহমানের নামে। অদ্যবধি তিনি নাম পরিবর্তনে কোন আবেদন করেননি বা অনলাইনে লাইসেন্স নবায়নে কোন আবেদনও করেনি। অথচ প্রতিনিয়ত নওয়াবেঁকী বাজার সহ উপজেলা ব্যাপী প্রচারের জন্য মাইকিং করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামান মনির সাথে কথা হলে ক্লিনিকের ঘটনায় অনলাইনে আবেদন থাকার কথা বললেও তা দেখাতে পারেননি। এছাড়া ডাক্তার ও নার্স আছে বলে জানান। তবে, দ্বি-তল অবৈধ বিল্ডিং এর বিষয় তিনি মুখ খুলেননি।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ অজয় কুমার সাহা জানান, যার লাইসেন্স নেই বা অস্তিত্ব নেই তাহার পক্ষ থেকে প্রচার করা সম্পন্ন বে-আইনী।
উক্ত ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নওয়াবেঁকী বাজারে সকল স্থাপনার জরীপ করে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তার জরিপ কাজ চলছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট এস,ও সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি শ্যামনগরে যোগদানের পূর্বে নওয়াবেকীতে ওয়াপদার জায়গায় কিছু বিল্ডিং নির্মাণ হয়েছিল। বর্তমানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেখানে মাপ জরিপ চলছে। জরিপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারা অবৈধভাবে আছে সেটা বলা সম্ভব নয়।