আব্রাহাম লিংকন, নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরে পল্লীবিদ্যুৎ এর উপর আস্থা হারাচ্ছে গ্রহকরা, অভিযোগের শেষ নেই। উপজেলা ঘুরলেই শুধু অভিযোগ আর অভিযোগ। মহামারি করোনা ভাইরাস্ েসারাবিশ^ সংক্রমন থেকে একটু হালকা হয়ে মানুষ যখন নতুন আশার স্বপ্ন নিয়ে পূনরায় জীবিকা নির্বাহে ব্যস্ত, তখনি পল্লীবিদ্যুৎ এর বিল পরিশোধের জন্য কঠিন চাপে গ্রহকরা। ২ থেকে ৩ মাস বকেয়ার কারনে বাড়ীতে বাড়িতে এসে মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দিচ্ছে পল্লীবিদুৎ এর কর্মচারীরা। এতে করে চরম বিপদে পড়ছে গ্রাহকরা। খেটে খাওয়া দিন মজুর থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত মানুষেরা ২ থেকে ৩ মাস বকেয়ার কারনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন কবলে পড়ছে। যদিও অনেক কষ্টে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া পরিশোধ করে সংযোগ নেওয়ার জন্য গেলেও তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৬শ টাকা করে লাইন সংযোগের জন্য গ্রহন করছে পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। অনেকের কাছ থেকে সংযোগ কাটার ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছে বিদ্যুৎ এর কর্মচারীরা। এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগাতে এসেও নিচ্ছে চা, পান খাওয়ার খরচ। এ যেন হরিলুট শুরু হয়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে যে, শ্যামনগরে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মধুসুধন আসার পর থেকে এমন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রহক বলেন, আমরা বিভিন্ন কারনে হয়রানীর শিকার হচ্ছি। পল্লীবিদ্যুৎএর কর্মচারী আ: কাদির আমার পরিবারকে না জানিয়ে ভিটার ১টি মেহেগুনি গাছ মাঝ বরাবর থেকে কেটে ফেলে যার (আনুমানিক মূল্য ২৫শ টাকা) এবং আর একটি গাছ (আনুমানিক মূল্য ২৫শ টাকা) মাঝ বরাবর অর্ধেক কাটার সময়ে পরিবারের সদস্যরা বাঁধা দিলে পল্লীবিদ্যুৎএর কর্মচারী আ: কাদিরের সাথে এক পর্যায়ে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে আমাকে জব্দ করতে ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার কারনে আমার মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আমি পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে গেলে আমাকে খুব চাপসৃষ্টি করে এবং নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে মুসলেকা দিতে বাধ্য করায় এবং পরে ৬শ টাকা জরিমানা করে মিটারের সংযোগ দিয়ে যায়।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, বিদ্যুৎ লাইনের ফিউজ কেটে গেলে হাজার অভিযোগের ২/৩ দিন পর এসে কর্মচারীরা ফিউজ লাগিয়ে দিয়ে যায়।
তবে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মধুসুধন অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা অস্বীকার করে সাতনদীকে বলেন, মিটার পূণঃসংযোগের জন্য যে ফি নেয়া হচ্ছে সেটা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বার্ক) সর্কুলার অনুযায়ী নেয়া হচ্ছে, যেটার অফিসিয়াল রশিদও দেয়া হচ্ছে।