মোমিনুর রহমান, দেবহাটা: সাতক্ষীরার দেবহাটা ও আশাশুনী উপজেলা দিয়ে প্রবাহমান সাঁপমারা খালটির ১৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলমান খনন কাজ বাধাগ্রস্থকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান। পাশাপাশি চলমান খনন কাজ সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন ও খনন কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ খালটির দু’পাড়ের অসহায় পরিবার গুলোকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। রবিবার দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়নের সাঁপমারা খালের খনন কাজ চলমান এলাকা সমুহ পরিদর্শন এবং দু’পাড়ের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, সাঁপমারা খালটি খননের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত সহ জলাবদ্ধতা নিরসন ও জনদুর্ভোগ লাঘবে জনসাধারনের প্রত্যাশা পুরন হবে। যদিও খনন কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করতে একটি স্বার্থন্বেসী কুচক্রী মহল নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তবে সকল ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে সুষ্ঠভাবে সাঁপমারা খালটির খনন কাজ শেষ করা হবে। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে পুনর্বাসনের বিষয়ে তালিকা প্রনয়নের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। জোয়ার গুচ্ছগ্রাম সহ আশপাশের এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সরকারী যেসব পতিত খাস জমি রয়েছে সেখানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে ক্রমান্বয়ে পুনর্বাসন করা হবে। এদিকে সাঁপমারা খাল খনন কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করতে এবং খালপাড়ের সরকারি খাস জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা রক্ষার জন্য গুটি কয়েক প্রভাবশালী ধর্নাঢ্য ব্যাক্তির থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি চক্র। অর্থের বিনিময়ে তারা পারুলিয়া বাজার ব্রীজের পাশ্ববর্তী সাঁপমারা খালের সরকারী খাস জমিকে ওই সব প্রভাবশালী ব্যাক্তির রেকর্ডীয় সম্পত্তি বলে চালিয়ে দিতে খালের ভিতরে কংক্রিটের পিলার স্থাপন ও লাল ফ্লাগ ঝুলিয়ে দিয়ে খাল খনন কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, চক্রটি সম্পুর্ন বেআইনীভাবে খালের ভিতরে কংক্রিটের পিলার স্থাপন ও লাল ফ্লাগ ঝুলিয়ে খনন কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থের অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারা নিজেদের অবৈধ স্থাপনা রক্ষার মাধ্যমে স্বার্থ হাসিল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। চক্রটি অবৈধ স্থাপনা গুলো বাঁচানোর জন্য খালটির বর্তমান প্রবাহিতের স্থান থেকে ভিন্ন দিকে সরিয়ে খনন করাতে উঠে পড়ে লেগেছে। তবে তারা কোন অপচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র করে সফল হবেনা। খালটি বর্তমানে যে স্থান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ঠিক তার মধ্যভাগ থেকে দুপাশে সমান জায়গা নিয়ে খালটি খনন করা হবে। ইতোমধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের ম্যাপ অনুযায়ী খালের জমি মাপজরিপের জন্য দায়িত্বরত এসওকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে চলমান খনন কাজকে বাঁধাগ্রস্থ করতে যে যতো বেশী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে, সে ততো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের উপস্থিতিতে খাল খনন করা হবে বলেও জানান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান। এসময় দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, পাউবো’র এসও সাইদুর রহমান, ইউপি সদস্য শেখ মকরম হোসেন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পাউবো’র প্রকৌশলী পরিদর্শন করলেন দেবহাটা ও আশাশুনির সাঁপমারা খাল
পূর্ববর্তী পোস্ট