বিশেষ প্রতিবেদক:
দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া কামালের (মিল কামাল) ছেলে বাবুর বিরুদ্ধে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কামালের ছেলে বাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে ঐ নারী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সাতক্ষীরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। (না: শিশু: পিটিশন ৪০০/২০ )। ইতোমধ্যে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করেছে এবং বাদী মিতা খাতুনের (ছদ্মনাম) মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
বাদী মিতা খাতুন (ছদ্মনাম) এর ভাষ্যমতে, আমি ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে গৃহকর্মীর কাজে যাই এবং ২০১৭ সালে দেশে ফিরে এসে বাড়িতে ছাগলের খামার পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসতে থাকাকালীন পারুলিয়ার মিল কামালের ছেলে বাবুর সাথে ফোন সূত্রে আমার পরিচয় হয়। এরূপে আলাপ-আলোচনা থাকাকালে বাবু প্রথমে প্রেম নিবেদন করে ও পরে বিবাহের প্রস্তাব দেয়।
বাবুর বিয়ের প্রস্তাবে নতুন জীবনের আশ্বাসে আমি রাজি হই। তখন থেকে বাবু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং আমার সাথে আমার পিত্রালয় এসে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করে। আমি বাবুকে বিবাহ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বাবু বিবাহ করার শর্তে আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি ওমানে থাকাকালে জমানো টাকা হতে বাবুকে ২ লক্ষ টাকা দেই। তারপর থেকে বাবু আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি জানতে পেরেছি বাবু আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছে।
বাদী আরও জানান, বাবু ও তার পিতা স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ও মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে। আমি সুবিচার পাবার আশায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সাতক্ষীরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ০৩ এর ৯(১) ধারায় মামলা করেছি।
ইতোমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আমার বাড়িতে এসে তদন্ত করে গেছে এবং আমার মেডিকেল পরীক্ষা করেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করায় বাবুর বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।