ফিরোজ হোসেন : আদম ব্যবসায়ী কামরুলের খপ্পরে পড়ে বসত ভিটা ছাড়া হয়েছে একড়ার আঃ রশিদ। নিজের সর্বস্থ হারানো টাকা আদায় করতে হত দরিদ্র রশিদ থানায় অভিযোগ করেছে আদম ব্যবসায়ী কামরুলের বিরুদ্ধে।থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, হত দরিদ্র আঃ রশিদ সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার একড়া গ্রামের বাসিন্দা। দালাল কামরুলের বাড়ি সদর থানার রায়পুর গ্রামে তার বাড়ি। পেশায় আদম ব্যাপারি। সহজ সরল লোকদের ঠোকানো তার মুল ব্যবসা। এই দালাল নিজেকে একজন কাট ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিলেও মানব পাচার তার আসল ব্যবসা। কেউ বিদেশ যেতে চাইলে বৈধ্য ভাবে সরকারি ভিসায় বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ম্যানেজ করে চোরাই ভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়া সহ সে বিভিন্ন দেশে তাদের পাচার করে। বিনিময় হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। একই ভাবে এই দালালের খপ্পরে পড়ে সহজ সরল হত দরিদ্র আঃ রশিদ। আঃ রশিদ এ প্রতিদেক জানায়, নিজেদের ভাগ্যের পরির্বতন ঘটাতে নিজের ছেলেকে বৈধ্য ভাবে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য মনোস্থির করি। পাশের গ্রামের দালাল কামরুলের বাড়ী লোক মুখে সে এ খবর পেয়ে আমার বাড়ি চলে আসে। সরকারি ভিসাস বৈধ্য ভাবে ছেলেকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট থেকে ২,৫০০০০/=(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা হাতিয়ে নেয়। কয়েক দিন পর ছেলে আমার কাছে ফোন করে বলে, মালয়েশিয়ায় একটা ঘরে আমাকে আটকিয়ে রেখেছে, খেতে দেয়না মার ধোর করে এবং তারা বলছে আরও ২,৫০০০০/=(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা না দিলে তোকে মেরে ফেলাবো। আমি তখন কামরুলের কাছে গিয়ে জানতে চাই বৈধ পথে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বল অবৈধ্য পথে আমার ছেলেকে পাঠালে কেন? আর আমার ছেলেকে তারা আটকিয়ে রেখে খেতে না দিয়ে মার ধোর করছে কেন? দালাল কামরুল বলে ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে আরও ২,৫০০০০/=(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়ে এস, না হয় আমি একটা এ্যাকাউন্ট নাম্বার দিচ্ছি ব্যাংকে গিয়ে এই নাম্বারে টাকা পাঠাও। যত তাড়াতাড়ি তুমি টাকা পাঠাবে তত তাড়াতাড়ি তোমার ছেলে মুক্তি পাবে। তার হাতে পায়ে ধরে কোন কাজ না হলে আমি আমার শেষ সম্বল মাথা গোজার জায়গা টুকু লোকের কাছে বন্ধক রেখে যা পাই বাকি টাকা ধার দেনা ও সুদ করে নিয়ে পাঁচ দিন পর তার দেওয়া এ্যাকাউন্টে ইসলামী ব্যাংকের কলারোয় শাখা থেকে ২,৫০০০০/=(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা পাঠিয়ে দেই। পরবর্তীতে আমার দেওয়া অতিরিক্ত ২,৫০০০০/=(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ফেরত চাইলে কালক্ষেপন করতে থাকে । এখন সে আমাকে একটি টাকাও ফেরত দেবেনা বলে হাকিয়ে দিচ্ছে। আর বলছে এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে দেব। এই দালালের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা এবং আমার টাকা গুলো ফেরত পাইবার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয় জানার জন্য মুটো ফোনে কামরুলের সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে, আমি এ ব্যাপারে ফোনে কোন কথা বলব না, আমারও সাতক্ষীরার লোক জন আছে।