নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘প্রথম আলো মানেই সঠিক সংবাদ নয় বরং মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথম আলোর সাথে জামায়াত বিএনপি ও যুদ্ধাপরাধীদের সরাসরি সম্পর্ক আছে। ভুল তথ্য দিয়ে তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে আন্তর্জাতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রথম আলোকে সর্বত্র বয়কট ও তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে’।
আজ বুধবার(৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা যুব মহিলা লীগের আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক রাশিদুজ্জামান রাশির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদগক কাজী আক্তার হোসেন।
বক্তারা বলেন, ‘প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত বহু অভিযোগ হয়েছে। ধর্ম অবমাননার মত কুরুচীপূর্ন কাজও প্রথম আলো করেছে। সম্প্রতি তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। তারা বারবার এ ধরনের নেতিবাচক কাজ করে পার পেয়ে যেতে পারে না। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে পাশাপাশি প্রথম আলোয় কর্মরত হলুদ সাংবাদিকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’।
প্রথম আলোর হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারন করে বক্তারা বলেন, ‘তারা দিনকে রাত আর রাতকে দিন বলতেও দ্বিধা করে না। কলমের খোঁচায় তারা সত্যকে মিথ্যা বানায় আর মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশ করে। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল যুগে তাদের সেই জালিয়াতি জনগন ধরে ফেলেছে। এজন্য প্রথম আলো পত্রিকা সর্বত্র বয়কট করতে হবে’।
বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ভুলভাল রিপোর্ট করেছেন। একটি ১০ বছর বয়সী শিশুকে টাকা দিয়ে তার ছবি তোলার পর আরেকজনের বক্তব্য ওই শিশুটির নামে ছাপিয়ে দিয়েছে যা তথ্য সন্ত্রাসের শামিল। আদতে ১০ বছর বয়সী একটি শিশু সংসার চালানো ও স্বাধীনতা সম্পর্কে কতটুকু ধারনা রাখে এই প্রশ্ন করে বক্তারা বলেন, প্রথম আলো ‘ইনফর্মেশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করে সংবাদ প্রচার করে। এজন্য তাদের দেওয়া তথ্যে বিশ্বাস রাখা কঠিন। সারাবিশ্বের মানুষের কাছে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে খারাপ ধারনা তৈরী করে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস, জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হুমায়রা খাতুন, জেলা তাঁতী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, জেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি মীর শাহিন, জাহানারা আক্তার, রাশিদা পারভিন, হামিদা সুলতানা, রহিমা বেগম সহ জেলা যুব মহিলা লীগের সকল নেতৃবৃন্দ।