জাতীয় ডেস্ক:
ভোটের মাঠে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জয় ঠেকাতে মনোনয়ন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনলাইন করার কাজ প্রায় চূড়ান্ত। সেপ্টেম্বরে চার সিটি নির্বাচন থেকেই এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি চালু করতে চায় কমিশন। যার শতভাগ বাস্তবায়ন হবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে। কমিশন বলছে, এতে ভোটের মাঠে কমবে পেশিশক্তির ব্যবহার।
অর্থ আর পেশিশক্তির কারণে নির্বাচনের মাঠে অসম প্রতিযোগিতার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। ক্ষমতার প্রভাবে প্রার্থীদের অনেকে মনোনয়ন গ্রহণ কিংবা জমা দিতে পারেন না। যাতে নির্বাচনে বাড়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ঘটনা। সেইসঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার ঘটনাও ঘটে হরহামেশা।
এমন সব ঘটনার রাশ টানতে কয়েক মাস আগে থেকে নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়ন চালুর উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে প্রাথমিক সব কাজ প্রায় শেষ। শুধু মনোনয়ন গ্রহণ কিংবা জমা নয়, মনোনয়ন ফিও জমা দিতে হবে অনলাইনে। যাচাই বাছাই থেকে শুরু করে প্রার্থিতার সব কাজ হবে অনলাইনে।
শুরুতে নির্বাচন কমিশন নিজেদের মধ্যে প্রতীকী ভোটের মাধ্যমে অনলাইন কার্যক্রম শুরু করবে। যেখানে কমিশনার কিংবা কমিশন কর্মকর্তারা নিজেরাই প্রার্থী হবেন। পরবর্তীতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে সিটি করপোরেশ, পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রক্রিয়াটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, অনেকে বাধাগ্রস্ত হয়। যার শক্তিশালী তারা অন্যকে দাঁড়াতে দেয় না।
আগামী সেপ্টেম্বরে চার সিটি নির্বাচন দিয়েই অনলাইন মনোনয়ন পুরোপুরি চালু করতে চায় কমিশন। এরপরই কমিশনের টার্গেট দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন।
আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কাজ আমাদের হয়ে গেছে। শুধু ই চালান অথবা পেমেন্ট সিস্টেমটা পেমেন্ট গেটওয়ে সঙ্গে ইন্টেগ্রেট করা যাতে কোনো কিছুই যেন কাগজ কলমে না থাকে।’
কমিশন মনে করছে এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি চালু হলে ভোটের মাঠে কমবে অর্থ আর পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য।