আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: মাদকসহ আটক তিনজনকে ছেড়ে দিয়ে অর্থ বাণিজ্য করলো শ্যামনগর থানার পুলিশ। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অভিযুক্ত এসআই রবিউলের পক্ষে সাফাই গাইছে শ্যমনগর থানার ওসি। ইতোপূর্বেও শ্যামনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগের খবর প্রকাশ হয়েছে। মাদকসহ আটক আসামীদের ওসির ইঙ্গিতেই ছেড়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাসূত্রে জানাগেছে যে, গত ১০ মে ২০২১ তারিখ রাত্র ১২.১৫ মিনিটে ভেটখালী বাজারে টেংরাখালী গ্রামের এবাদুল গাজীর পুত্র জাকির হোসেন (১৫), নেছার গাজীর পুত্র মুন্নাফ (১৩), মতিয়ার রহমানের পুত্র আব্দুর রহমান (১৭) গাঁজা ক্রয় করে বাজারের ভিতরে সেবনের জন্য আসছিল৷ বাজারের নাইট গার্ড হযরত আলী এক পোটলা গাঁজা সহ জাকির, মুন্নাফ, আব্দুর রহমানকে হাতে নাতে আটক করে৷ আটকের পর স্থানীয় রায়নগর নৌ-পুলিশে সোপর্দ করে৷ সকালে নৌ-পুলিশের ইনচার্জ শ্যামনগর থানাকে অবগত করলে থানা পুলিশের এসআই রবিউল ইসলাম ফোর্স নিয়ে নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে আসেন৷ নৌ-পুলিশ ইনচার্জ কাগজের মাধ্যমে এসআই রবিউলের কাছে গাঁজার পোটলা সহ আসামিদের বুঝিয়ে দেন৷ পরে এসআই রবিউল স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জাকির, মুন্নাফ, আব্দুর রহমানকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়৷
নৌ-পুলিশ ইনচার্জ আক্কাস আলী বলেন, ‘আমি কাগজের মাধ্যমে এসআই রবিউলের কাছে গাঁজার পোটলা সহ আসামিদের বুঝিয়ে দিয়েছি’৷
তবে বিষয়টি নিয়ে এসআই রবিউলের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘তাদের বয়স কম এবং গাঁজার পরিমান কম থাকায় ওসি স্যারের নির্দেশে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জাকির, মুন্নাফ, আব্দুর রহমানকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷’
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমি বিষয়টি কিছুই জানি না৷ এ বিষয় এসআই রবিউল জানে৷’
কালিগঞ্জ সার্কেল এম, এম মোহাইমেনুর রশিদ বলেন, ‘আপনার অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আপনি সঠিক প্রমান দিতে পারলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আগামী কাল ১ টার সময় সার্কেল অফিসে আসেন।’
মাদকসহ আটক তিনজনকে ছেড়ে দিল শ্যমনগর থানার ওসি হাজী নাজমুল হুদা
পূর্ববর্তী পোস্ট