বিনোদন ডেস্ক :
শীর্ষ আদালতের রায়ে ভাঙা পড়তে চলেছে মিঠুন চক্রবর্তীসহ একাধিক সেলিব্রিটি, নামী ব্যক্তির রিসোর্ট৷তামিলনাড়ুর নীলগিরির পাহাড়ি অঞ্চলে তৈরি ওই রিসোর্টগুলোর কারণে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে হাতিদের চলাফেরায়৷এলিফেন্ট করিডরের খুব কাছে রিসোর্টগুলোর অবস্থান হওয়ায় বুধবার সেগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷
২০১১ সালে এই একই ইস্যুতে মাদ্রাজ হাইকোর্টও রিসোর্ট ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল৷সেই নির্দেশেই এদিন সিলমোহর দিল শীর্ষ আদালতও ৷
২০০৭ এবং ২০০৮ সালে সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, হাতি করিডরের একেবারে গা ঘেঁষে রিসোর্টগুলি তৈরি হওয়ায় সেখানে জনসমাগম বাড়ছে। যার কারণে হাতিদের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তারা বারবার পথ পরিবর্তন করছে, যার ফলে গোটা জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তার রায়ে রিসোর্টগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। কিন্তু মিঠুনসহ মোট ৩২ জন আবেদনকারী সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মিঠুন তার আবেদনে জানিয়েছিলেন, তাঁর রিসোর্টের মাধ্যমে এলাকার বহু আদিবাসী পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়। রিসোর্ট মালিকদের একাংশের আরো বক্তব্য ছিল, তারা আইন মেনে ওই এলাকায় রিসোর্ট বানিয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই মামলা সংক্রান্ত এক শুনানি চলার সময়ে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে বলেছিলেন, ওই এলাকার বাস্তুতন্ত্র ভঙ্গুর, তাই মানুষের উচিত হাতিদের জন্য রাস্তা তৈরি করে দেয়া।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারীদের আপত্তি ও বক্তব্য শোনার জন্য তারা একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিচ্ছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যার নেতৃত্বে থাকবেন। কমিটিই নির্ধারণ করবে রিসোর্টগুলি অন্যত্র পুনর্নিমিত হবে কি না।
এখন মিঠুন চক্রবর্তীর ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন, এমন নির্দেশ পাওয়ার পরে কি করবেন অভিনেতা? উত্তরের জন্য সময়ের অপেক্ষা।