নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে কি হবে ঐ নিন্মমানের রড এবং ১১৪ পিছ রিং দেওয়ার জায়গায় ৯৪/৯২ পিছ রিং দিয়ে ঢালাই করা প্লারগুলো ? এমন ধরনের প্রশ্ন এলাকাবাসীর মুখে মুখে। শুরুতেই দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে যে, গত মাসে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের প্লার তৈরীর কাজে নিন্মমানের রড দিয়ে ঢালাই চলে। ঐ সময়ে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে পড়ে। ১০৯ টি প্লারের মধ্যে ৫১ টি প্লার তৈরীর কাজে নিন্মমানের রড এবং প্লিরের খাঁচা তৈরিতে ১১৪ পিছ রিং দেওয়ার কথা থাকলেও ৯৪/৯২ পিছ রিং দিয়ে ঢালাই কাজ করায় স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ ১ মাস কাজ বন্ধের পর উপরী মহলের তদবির ও দেনদরবারে বাকি প্লার তৈরীর কাজ শেষ হয়। ঢাকা পড়ে যায় নিন্মমানের রড দিয়ে তৈরি ৫১ টি প্লার ।
স্কুলের আহবায়ক কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ২৭ আগষ্ট ২০২০ তারিখ সকালে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেন এবং পরবর্তিতে এমন ধরনের কোন অভিযোগ যাতে না হয় সে বিষয়ে অবগত করেন।
কোথায় এই ঠিকাদারের খুটির জোর ? কাজ বন্ধের পরও কিভাবে চালু হলো ?- প্রশ্ন সূধী মহলের। নিন্মমানের ৫১ টি প্লারের ভবিষৎ কি ? এই প্লিয়ারগুলো থাকলে আইলা কবলিত এলাকায় আদৌও কি ভবনটি টেকসই হবে? এমন ধরনের কথা জানালেন বিদ্যালয়ে অভিভাবক সদস্য মোজ্জাম্মেল হোসেন আশারাফ হোসেন বলেন, তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম. আবুজার গিফারী তদন্ত করে জেনেও কোন ফলাফল আসে নি। রয়ে গেছে সেই নিন্মানের ৫১ টি প্লার। তা হলে তদন্ত করেই বা কি হলো?
সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের প্রধান মিস্ত্রি আবু মুছা বলেন, আমি মিস্ত্রি। আমাকে যে ভাবে কাজ করতে বলেছে সে ভাবে কাজ করেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থালে এসেছিলেন। আমি বিষয়টি জানানো পর তিনি আমাকে বলেন, এলাকার স্বার্থে কাজটি বন্ধ করে লাভ নেই। যা গেছে পরবর্তিতে আর যেন না হয়। একটু দেখে নেবেন।
ঠিকাদার করিম বলেন, মোবাইলে তো সব কিছু বলা যায় না। আগামী মঙ্গলবার এসে আপনার সাথে দেখা করবো।
ইউনুচ আলী বলেন, একটি ভবনের মূল অংশ একটি ভিত, আর যদি সেই ভিত মজবুত না হয় তাহলে বিদ্যালয় নির্মানের পর ঘটে যেতে পারে রানা প্লাজার মতো দূর্ঘটনাও। আমাদের স্কুল আমরা ঠিকমত দেখে নেবো, যদি অনিয়ম করে তবে আমরা প্রতিবাদ করবো। কিন্তু প্রতিবাদ করে কার কাছে অভিযোগ করবো?
যদিও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যতটুকু হয়েছে আর যেন না হয়। কিন্তু কি হবে ঐ নিন্মমানের রড এবং ১১৪ পিছ রিং দেওয়ার জায়গায় ৯৪/৯২ পিছ রিং দিয়ে ঢালাই করা প্লারগুলো ?
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আগে যা হয়ে গেছে এমন ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য ঐ এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির মাধ্যমে একটি টিম গঠন করেছি। তারা বিষয়টি দেখভাল করছে।