নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক প্রভাবশালী ও নোংরা চরিত্রের ছদ্মবেশী সমাজ সেবীর দ্বারা মিথ্যা মামলায় আসামী হওয়ার প্রতিবাদে এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন, উপজেলার তারানীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম ও সোরা গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে মোশারফ হোসেন।
তারা তাদের লিখিত বক্তব্যে বলেন, শ্যামনগর উপজেলার ৬ নং রমজাননগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টি, এরপর জামায়াত, এরপর বিএনপি এবং এবারের নির্বাচনের পর থেকে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করে প্রভাব বিস্তার করছেন। বর্তমানে তার তিন স্ত্রী থাকার পরও অসামাজিক কাজের জন্য তার অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি ভাইরাল হয়। এছাড়া কিছু অনলাইন সংবাদে তার অশ্লীল ছবির সংবাদ প্রকাশ হয়। এই সংবাদ শত শত মানুষ শেয়ার করেন। এ ঘটনার পর আকবর অলী তাকে বিবাহিত স্ত্রী দাবী করে এর প্রতিবাদ জানান। এরপর তিনি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে তাদের দুই জনের (রাকিবুল ও মোশারফ) বিরুদ্ধে গত ২৮ আগষ্ট ঢাকায় সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। অথচ তারা তার কোন অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেনি। তিনি যে আইডিতে এই ছবি প্রচারিত হয়েছে বলে দাবী করে মামলা দায়ের করেছেন সে আইডি তাদের নয় বলে তারা দাবী করেন। Md, Rakibul Khan নামে যে আইডি রাকিবুল পরিচালনা করেন তার আইডি লিংক হল www,facebook.com/lovelyar.gfreasma আর মোশারফ বলেন, তিনি একজন সাংবাদিক হিসাবে অনলাইনে প্রচারিত সংবাদ তার নিজ আইডিতে শেয়ার করেছেন। বিএনপির সমর্থক এ্ক আইডির দোহাই দিয়ে তাকে ২ নং আসামী করা হয়েছে। যা একেবারেই মিথ্যা, তিনি কখনও বিএনপি সমর্থক কোন আইডি পরিচালনা করেননি বলে দাবী করেছেন তিনি। বিগত নির্বাচনে তারা দুই জনই তার দল না করাই সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যান তাদের শত্রতামূলকভাবে মিথ্যা মামলায় আসামী করেছেন বলে তারা জানিয়েছেন। রাকিবুল এ সময় বলেন, সে দশম শ্রেনীর একজন ছাত্র। এই মামলায় আসামী করায় তার পড়াশুনা ব্যাহত হচ্ছে। নব্য আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েই প্রভাব বিস্তার করে আকবর আলী তাদের নামে মামলা দায়ের করেছেন বলে তারা আরো জানান। এমতাবস্থায় তারা এই মিথ্যা মামলাটি প্রকাশ্য তদন্ত করে এটি প্রত্যাহারসহ অব্যাহতি দাবী করে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।